স্তনে হাত, জোর করে ওরাল সেক্স! বায়ুসেনার কর্তার বিরুদ্ধেই উঠল মহিলা সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ
Physical Assault: শীর্ষকর্তা (অভিযুক্ত) জিজ্ঞাসা করেন যে নববর্ষের উপহার পেয়েছেন কি না। যুবতী না বলায়, ওই কর্তা বলেন যে তাঁর রুমে গিফ্ট রাখা আছে। এই বলেই রুমে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে 'ওরাল সেক্স' করতে বাধ্য করেন এবং যৌন হেনস্থা করেন।
শ্রীনগর: কর্মস্থলে আদৌ সুরক্ষিত মহিলারা? আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রশ্ন উঠে এসেছে। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে এখনও আন্দোলন জারি রয়েছে। এরইমধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার এক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বায়ুসেনারই কম্যান্ডারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার এক মহিলা ফ্লাইং অফিসার এক শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগকারীণীর বয়ানের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের বাদগামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত-দুইজনই শ্রীনগরের বাসিন্দা। অভিযোগকারী মহিলা ফ্লাইং অফিসারের দাবি, বিগত দুই বছর ধরে হেনস্থা, যৌন নিগ্রহ ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। এক উইং কম্যান্ডারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের তরফে শ্রীনগরোর বায়ুসেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশকে তদন্তে সবরকমের সহযোগীতা করবে বায়ুসেনা, এমনটাই জানানো হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
অভিযোগকারী জানান, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিউ ইয়ার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর শীর্ষকর্তা (অভিযুক্ত) জিজ্ঞাসা করেন যে নববর্ষের উপহার পেয়েছেন কি না। যুবতী না বলায়, ওই কর্তা বলেন যে তাঁর রুমে গিফ্ট রাখা আছে। এই বলেই রুমে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে ‘ওরাল সেক্স’ করতে বাধ্য করেন এবং যৌন হেনস্থা করেন। ওই যুবতী জানান, তিনি সবরকমভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শেষে ধাক্কা মেরে ওই কর্তাকে সরিয়ে তিনি ঘর থেকে পালিয়ে আসেন। ওই কর্তা তারপরও দমেননি। পরে যেদিন তাঁর পরিবার বাড়ি থাকবে না, সেদিন আবার দেখা হবে বলেই তির্যক মন্তব্য করেছিলেন।
অভিযোগকারী বলেন, “আমার সঙ্গে কী হল, তা বুঝতে, ধাতস্থ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না কারণ এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, যখন আমায় রিপোর্ট করতে বারণ করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরও ওই ব্যক্তি আমার অফিসে আসে..এমন ব্যবহার করছিল যেন কিছুই হয়নি। ওঁর চোখে অনুতাপের ছাপও দেখেনি।”
ওই মহিলা অফিসার জানান, তিনি দুই মহিলা অফিসারের সঙ্গে কথা বললে, তারাই কীভাবে অভিযোগ জানাতে হবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। যুবতী জানান, তাঁর অভিযোগের পর কর্নেল র্যাঙ্কের এক কর্তা তদন্তভার পেয়েছিলেন। অভিযুক্তকেও জানুয়ারি মাসে দুইবার জেরা করা হয়, বয়ান রেকর্ড করা হয়। কিন্তু এরপরও মামলা বন্ধ করে দেয়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
তিনি ফের ইন্টারনাল কমিটির কাছে অভিযোগ জানান। দুই মাস পর ফের তলব করা হয়। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে ওই শীর্ষকর্তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। যুবতী একাধিকবার মেডিক্য়াল টেস্টের কথা বললেও, তাঁর পরীক্ষা করানো হয়নি। এমনকী, তিনি যখন ছুটি যান, প্রতিবারই সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। বাধ্য করা হয় বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিতে, যেখানে অভিযুক্ত ওই আধিকারিকও যেতেন। ইন্টারন্যাল কমিটিও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে আবার উঠেছে #মিটু ঝড়। বিনোদন থেকে কর্পোরেট জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে উঠছে স্বর। এবার বায়ুসেনাতেও যৌন হেনস্থা, ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।