নয়া দিল্লি : একজন যাত্রী বিমানবন্দরে প্রবেশ করার সময় একটিই হ্যান্ডব্যাগ রাখতে পারবেন কাছে। দেশের বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েসন অথরিটি’র তরফ থেকে বিমান সংস্থাগুলিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব বিমানবন্দরে যাত্রীরা এই ‘ওয়ান হ্যান্ডব্যাগ’ সংক্রান্ত নিয়ম মানছে কি না, তার ওপর নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের তরফ থেকে এই নির্দেশ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। বিমানবন্দরগুলিতে যাতে অযথা ভিড় না বাড়ে, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেখানে ব্যাগ পর্যবেক্ষণ হয়, সেই স্ক্রিনিং পয়েন্টে অনেক যাত্রীই ২ থেকে ৩ টি হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে স্ক্রিনিং হতে একজন যাত্রী পিছু অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সেই কারণেই এই নির্দেশিকা মানার কথা বলা হয়েছে। সব এয়ারলাইনস যাতে এই নির্দেশ মেনে চলে, তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এয়ারলাইনসগুলিকে বলা হয়েছে, কর্মীদের এই নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত করার জন্য বহাল করতে হবে।
এয়ারলাইনসের কর্ণধারেরা মনে করছেন এই নিয়মে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ, যাত্রীদের ল্যাপটপ সহ অন্য জিনিসপত্র বহন করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ফলে আদতে ‘ওয়ান হ্যান্ডব্যাগ’ নিয়ম জারি করার অসম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা। নতুন নিয়মে হ্যান্ডব্যাগ ছাড়াও যে সব ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ল্যাপটপ ব্যাগ, একটি কম্বল, বিমানবন্দরের দোকানগুলি থেকে কেনা কোনও জিনিস, ছাতা, বিমানে পড়ার জন্য কোনও বই বা পত্রিকা। ফলে স্ক্রিনিং-এর ক্ষেত্রে বেশি সময় লেগে যাবে।
সূত্রের খবর, একাধিক সাংসদ অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে জানিয়েছেন, যাত্রীদের ব্যাগ স্ক্রিনিং-এ এত বেশি সময় লাগছে, যাতে অযথা ভিড় বেড়ে যাচ্ছে। সেই অভিযোগ শুনেই সম্ভবত মন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েসন অথরিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সব বিমান সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ইতিমধ্যেই। অবিলম্বে এই নির্দেশিকা লাগু করার কথা বলা হয়েছে।
ব্যাগ সংক্রান্ত নির্দেশিকার পাশাপাশি বিমানবন্দরে যাতে বেশি সংখ্যক বিমান একসঙ্গে ওঠানামা না করে সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে বিমানের ওড়া বা অবতরণের সময় বদলানোর বিষয়েও আলোচনা করেছে কেন্দ্র। তবে সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, সময় বদলাতে গেলে বিমান বাতিল করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। এয়ারলাইনসের কর্তাদের দাবি, বিমানবন্দরে ভিড় কমাতে গেলে চেক-ইন কিয়স্কের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন : Kalyan Banerjee: ‘মানসিকভাবে অ্যালার্ট রয়েছি’, অভিষেক-পর্বের পর কোর্টরুমেই আবেগে ভাসলেন কল্যাণ