লখনউ: রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। আচমকা গোপনাঙ্গে প্রবল জ্বালা করায় ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। উঠে দেখেন স্বামীর হাতে লেগে রয়েছে চটচটে একটা ক্রিম। স্ত্রীর যৌনাঙ্গের রঙ উজ্জ্বল করতে নাকি গোপনে ওই কাজ করছিলেন স্বামী। আর সেই ক্রিম লাগতেই পুড়ে যায় স্ত্রীর গোপনাঙ্গ। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে এই বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে স্ত্রীকে হত্যা করার হুমকিও দেন স্বামী, এমনই অভিযোগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের রোরাওয়া এলাকায়।
মাস খানেক আগে এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। তবে স্ত্রীর যৌনাঙ্গের রঙ অপছন্দ ছিল স্বামীর। স্ত্রীর যৌনাঙ্গ ফরসা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই, এক জায়গা থেকে একটা ক্রিম কিনে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেই ক্রিম লাগালেই নাকি যৌনাঙ্গ চকচকে হয়ে উঠবে। এই বিশ্বাসেই রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়ার পর ওই যুবক চুপি চুপি ক্রিমটি তাঁর স্ত্রীর যৌনাঙ্গে লাগান। কিন্তু, ওই ক্রিমটি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর যৌনাঙ্গের চামড়া পুড়ে যায়। ঘুমের মধ্যেই গোপনাঙ্গে প্রবল জ্বালা অনুভব করেছিলেন স্ত্রী। তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে স্বামীর হাতে ক্রিমের কৌটোটি দেখে তিনি জানতে চান ওটা কী। এরপরই স্বামী স্ত্রী-এর কাছে সবটা খুলে বলেছিলেন।
স্বামীর কথা শুনে তো স্ত্রীর মাথায় হাত। তিনি স্বামীকে সাফ জানিয়ে দেন, এই সব করা চলবে না। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল। সেই সময় স্ত্রীকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সতর্ক করেন। বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন। বিবাদ চরমে উঠলে স্বামী তাঁকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। মারধরের পরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক মাস আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তার পর তাদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ১৩ মে রাতে তিনি যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন হঠাতই তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচণ্ড জ্বালা শুরু হয়েছিল। তারপরই স্বামীর ওই ক্রিমের কথা জানতে পেরেছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে যা প্রকাশ পাবে, তার ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।