নয়া দিল্লি: সাধারণ মানুষের মধ্যে ফের একবার অসচেতনতা, মাস্ক পরার অনীহা বাড়তেই চুপিসাড়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণও। বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মারণ ভাইরাসের প্রভাবে জনজীবন যেভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, তা যাতে আর না হয় সেই লক্ষ্যেই নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে ২০২০ সালের শেষ ভাগেই আবিষ্কার করা হয়েছিল করোনা টিকা। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্য মিললেও, সাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে প্রিকশন বা বুস্টার ডোজ় নিয়ে। বুস্টার টিকাকরণে জোর দিতেই কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ। আজ থেকে আগামী ৭৫ দিনের জন্য সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ়।
দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে করোনা টিকাকরণের বিশেষ কর্মসূচি শুরু করছে ভারত সরকার। বিনামূল্যে বুস্টার টিকাকরণের জন্য ৭৫ দিনের একটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এতদিন কেবল ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরই করোনার প্রিকশন বা বুস্টার ডোজ় দেওয়া হত। তবে কেন্দ্রের নতুন ঘোষণায় জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ় নিতে পারবেন। জুন মাসেই কেন্দ্রের তরফে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের সুপারিশ মেনে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় ও বুস্টার ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান ৯ মাস থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছিল।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা মিলিয়ে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ রয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। কিন্তু করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষিত থাকতে বুস্টার ডোজ় নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একইসঙ্গে অন্যান্য করোনাবিধিগুলিও মেনে চলা জরুরি। কারণ ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ।