মহারাষ্ট্র: গত দু’বছর ধরে প্রবল পরিশ্রমের ফল। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেলেন নীলকৃষ্ণ গাজারে। প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান নীলকৃষ্ণ। জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনস পরীক্ষায় দেশের মধ্য়ে তাঁর র্যাঙ্ক হয়েছে ১। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিন ১০ ঘণ্টা ধরে পড়াশোনা করতেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের ওয়াসিমের প্রত্যন্ত গ্রাম বেলখেদ। সেখানকার বাসিন্দা নীলকৃষ্ণ। তাঁর বাবা নির্মল গাজারে ছেলের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। আনন্দ প্রকাশ করার কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
এলাকার প্রাথমিক স্কুল রাজেশ্বর কনভেন্টে পড়াশোন করেছেন নীলকৃষ্ণ। পরে ওয়াসিমের করঞ্জায় জে সি হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, ছেলে বরাবরই মেধাবী, খেলাধুলাতেও ভাল। আর্চারি বা তীরন্দাজিতে তুখোড় নীলকৃষ্ণ। তিনি জেলা ও জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
বর্তমানে নীলকৃষ্ণ ধ্যানেশ্বর মাসকুজি সায়েন্স কলেজে পড়াশোনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন ভোর ৪টেয় ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ২ ঘণ্টা পড়াশোনা করার পর প্রাণায়ম করেন তিনি। তারপর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আবার শুরু করেন পড়াশোনা। রাত ১০ টা ঘুম। এটাই ছিল পরীক্ষার প্রস্তুতির রুটিন।
নীলকৃষ্ণের লক্ষ্য আইআইটি বম্বে থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে। আপাতত জয়েন্ট এন্ট্রাস অ্যাডভান্সড-এর জন্য পড়াশোনা করছেন তিনি।