নয়া দিল্লি: ২০১৩ সাল থেকে NOTA বা ‘নো ভোট’ অপশন চালু করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ কোনও প্রার্থী পছন্দ না হলে ভোটাররা ওই অপশনে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য প্রতীকের থেকে যদি নোটা-তেই বেশি ভোট পড়ে, কী হবে তাহলে? নির্বাচন কমিশনের কাছে এবার সে ব্যাপারে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
NOTA-তে বেশি ভোট পড়লে সেই ভোট প্রক্রিয়াকে ‘বাতিল’ বলে চিহ্নিত করতে হবে, এমনই একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে এদিন। জানতে চাওয়া হয়েছে, নোটা নিয়ে কী নিয়ম আছে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখব।’
যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম মোটিভেশনাল স্পিকার শিব খেরা। তাঁর আইনজীবী গোপাল শঙ্করানারায়নণ এদিন আদালতে সুরাতের একটি কেন্দ্রের কথা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। সেখানে মাত্র একজন প্রার্থী থাকায় ভোট বন্ধ হয়ে যায়। আইনজীবীর দাবি, প্রার্থী একজন থাকলেও নোটা অপশন তো আছেই, তাই ভোট হওয়া উচিত।
আবেদনে এই আর্জিও জানানো হয়েছে যে, যদি কোনও প্রার্থী নোটা-র থেকে কম ভোট পান, তাহলে তাঁর ওপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নোটা অপশন চালু করে। বর্তমানে যে নিয়ম আছে, তাতে নোটা অপশনটি ধরা হয় না, শুধু কটি ভোট পড়েছে তা উল্লেখ করা হয়।