নয়া দিল্লি: ‘এক দেশ এক কার্ড’ উদ্যোগের অন্তর্গত ন্যাশনাল কমন মবিলিটি কার্ডের (National Common Mobility Card) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে দিল্লি মেট্রোর এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে এই কার্ডের মাধ্যমে। কিন্তু কি এই কার্ড? কীভাবে কাজ করে এটি? আর এই কার্ডের সুবিধাই বা কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নন্দন নিলেকনি কমিটির ভাবনায় তৈরি হয়েছে এই কার্ড। এই কমিটির শীর্ষে ছিলেন ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন নিলেকনি। সারা দেশে নগদ লেনদেন কমাতেই এই অত্যাধুনিক কার্ডের কথা ভাবে পাঁচ সদস্যের দল।
*বিগত ১৮ মাসে স্টেট ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-সহ মোট ২৩ টি ব্যাঙ্ক যেসব রুপে কার্ড দিয়েছে সেই কার্ডই এবার দিল্লি মেট্রোর স্মার্ট কার্ডের মতো কাজ করবে। আপাতত এক্সপ্রেস লাইনে কাজ করবে এই কার্ডগুলি। তবে দিল্লি মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে. ২০২২ সালের মধ্যেই সমগ্র দিল্লি মেট্রোয় চালু হয়ে যাবে এই পরিষেবা।
*এই পদ্ধতিতে মেট্রো, রেল, বাস সবজায়াগায় একই কার্ড ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন গ্রাহকরা।
*স্মার্টফোনে থাকবে ‘অটোমেটিক ফেয়ার কালেকসন সিস্টেম।’ যার মাধ্যমে মেট্রোরেলে যাতায়াতের টিকিট হবে স্মার্টফোন। ভারতের যেকোনও জায়গায় ব্যাবহার করা যেতে পারে এই কার্ড। তবে আপাতত দিল্লি মেট্রোতেই কাজ করবে এই এএফসি পদ্ধতি।
* দেশের সব জায়গায় এএফসি মেট্রো গেট বসানের জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে ভারত ইলেকট্রোনিকস লিমিটেড। কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে দেশের যে কোনও মেট্রোতেই কাজ করবে এই এনসিএমসি কার্ড।
একাধিক কার্ডের কাজ যাতে একটি কার্ডে সম্ভব হয়, সেই বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই এই কার্ডের ভাবনা দিয়েছে নিলেকনি কমিটি। প্রত্যেকটি ব্যাঙ্ককে ইতিমধ্যেই এনসিএমসি সম্পর্কিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসা: আপনি কি পাবেন ‘স্বাস্থ্য সাথীর’ সুবিধা? জেনে নিন এই তথ্যগুলো