নয়াদিল্লি: গর্ভপাত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। বিবাহিত এবং অবিবাহিত, ভারতের সমস্ত মহিলার নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি আইন নিয়ে মামলার প্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে আদালত। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এমটিপি (medical termination of pregnancy) আইনের বিষয়ে সমস্ত মহিলার গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। এ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, “এমটিপি আইনে গর্ভপাতের ব্যাপারে বিবাহিত এবং অবিবাহিতের কোনও প্রভেদ করা উচিত নয়।”
এই পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে। এ নিয়ে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, “বিনা সম্মতিতে যৌন সংসর্গ এবং সঙ্গীর সঙ্গে সংসর্গের জন্য হিংসার আশ্রয়ের অর্থ ধর্ষণ। এই ক্ষেত্রে মহিলারা জোর করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তে পারে। ধর্ষণের অর্থ বুঝতে হবে। বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়ও এমটিপি আইনের আওতায় আসতে পারে। অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা থেকে মহিলাদের বাঁচানো খুব দরকার। জোর করে ঘটা ঘটনার জেরে গর্ভবতী হওয়াও ধর্ষণ।”
আইনের পরিবর্তনের ব্যাপারে আদালত বলেছে, “মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি আইনকে বাস্তবের পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস রেখে পরিবর্তন করা উচিত। পুরনো নিয়মেই আকড়ে থাকা উচিত নয়। আইন কখনও স্ট্যাটিক হতে পারে না। সমাজের মানসিকতার পরিবর্তনের সঙ্গে তাঁরও পরিবর্তন করতে হয়।”
এর পাশাপাশি বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টিও নিয়েও আদালত নিজের অবস্থার স্পষ্ট করেছে। ধর্ষণের সংজ্ঞায় বৈবাহিক ধর্ষণকেও অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এ নিয়েই আদালতের যুক্তি, কোনও মহিলার বৈবাহিক অবস্থার বিচার করে তাঁকে গর্ভপাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ জন্য অবিবাহিত মহিলাদেরও ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতের কথা বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।