পটনা: মিড মে মিল নিয়ে ঝামেলা, গোলমাল শুধু এ বাংলাতেই? একদমই নয়। পড়শি রাজ্য বিহারেও বিতর্ক কম নয়। সেখানে তো আরও এক কাণ্ড। স্কুলে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। কিন্তু তাও ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের বসার বেঞ্চের কাঠ পুড়িয়ে রান্না হচ্ছে মিড ডে মিলের খাবার। সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগ উঠে এসেছে পটনার এক স্কুলের বিরুদ্ধে। সেখানে নাকি মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা বেঞ্চের কাঠ পুড়িয়ে রান্না করছেন। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিহারে। একেবারে হইহই কাণ্ড বেঁধে গিয়েছে সেখানে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে বিহারের শিক্ষা দফতর। ওই স্কুলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শোরগোল পড়তেই স্কুলের বিভিন্ন জনের মুখে মুখে বিভিন্ন কথা। একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত। যেন কে কত তাড়াতাড়ি নিজের ঘাড় থেকে দায় এড়াবেন, সেই ব্যস্ততা। রাঁধুনিরা দায় ঠেলছেন স্কুলের এক শিক্ষিকার দিকে। তাঁদের বক্তব্য, সবিতা কুমারী নামে স্কুলের এক শিক্ষিকাই তাঁদের বলেছিলেন বেঞ্চের কাঠ দিয়ে রান্না করতে সেদিন। এক রাঁধুনি তো এও বললেন যে নিজেই কাঠ দিয়ে রান্না করার কথা বলে, তারপর শিক্ষিকা নিজেই সেটার ভিডিয়ো করেছিলেন।
যদিও শিক্ষিকা আবার এসব অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, রাঁধুনিরা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। উল্টে স্কুলের হেড মাস্টারের দিকেই আঙুল তুলছেন তিনি। শিক্ষিকার দাবি, প্রধান শিক্ষকই নির্দেশ দিয়েছিলেন বেঞ্চের কাঠ পুড়িয়ে রান্না করতে।
এদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীণকুমার রঞ্জনও আবার সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি যে ঘটেছিল সেকথা মানছেন তিনি। তবে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, রাঁধুনিরা খুব বেশি শিক্ষিত নন। সেদিন খুব ঠান্ডা পড়েছিল। রাঁধুনিরা নাকি তাই বেঞ্চের কাঠ পুড়িয়েছিলেন।
এই দায় ঠেলাঠেলির মধ্যেই বিষয়টি নজরে এসেছে ব্লক শিক্ষা কর্তা নীবেশ কুমারের। তিনি জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যাঁদের দোষ ধরা পড়বে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।