‘যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, তা নিয়ে মুখ খোলারও দরকার নেই’, সিধুর উপদেষ্টাকে জোর বকুনি মুখ্যমন্ত্রীর

চণ্ডীগঢ়: যা নিয়ে জ্ঞান নেই, তা নিয়ে মুখ খোলারও দরকার নেই। রবিবার পঞ্জাবের কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর উপদেষ্টা মালবিন্দর সিং মালিকে এমনই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। ‘দেশের সংবেদনশীল’ বিষয়ে সিধুকে কথা না বলারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গত চারদিনে এই নিয়ে দু’বার সিধুর পরামর্শদাতাকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

অমরিন্দর সিং বলেন, “সংবেদনশীল বিষয়গুলি নিয়ে এমন কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয় যা ভাবাবেগকে আঘাত করে। যে সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান কম কিংবা জ্ঞান নেই কিংবা তার অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে কোনও বোধ নেই সে সমস্ত বিষয়ে মুখ না খোলাই ভাল।” মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশিত করা হয়েছে।

বিতর্কের শুরু নভজ্যোত সিং সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালির একটি টুইটকে ঘিরে। যেখানে তিনি কাশ্মীরকে একটি পৃথক দেশ বলে উল্লেখ করেন। মালি লেখেন, ‘কাশ্মীর একটা পৃথক দেশ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অবৈধভাবে দখল করেছে কাশ্মীর। এই দেশ আসলে কাশ্মীরিদের।’ এই টুইট ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। মন্তব্যের বিরোধিতা করেন কংগ্রেস নেতারাও।

শিরোমনি অকালি দলের নেতা বিক্রম মাজিথিয়া বলেন, ‘এই টুইটে শহিদদের অসম্মান করা হয়েছে, যারা কাশ্মীরের মাটি রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং যখন দাবি করেন যে পঞ্জাবের শান্তি নষ্ট করছে পাকিস্তান, তখন সিধু পাকিস্তানে গিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।’

অন্যদিকে বিজেপি নেতা বিনীত যোশী বলেন, ‘বহু সেনা ও পুলিশ কাশ্মীরকে পাক জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণ দিয়েছে। পঞ্জাবের বহু মানুষ শহিদ হয়েছেন দেশের জন্য। সেই শহিদদের আত্মত্যাগকে অপমান করেছেন মালি। ঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র রাজ কুমার ভারকা বলেন, ‘কাশ্মীর একটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আমার মনে হয় কারও এই ধরনের মন্তব্য করা উচিৎ নয়। আমি জানি না কী কারণে মালি এই মন্তব্য করেছেন, এ ব্যাপারে কথা বলার একটা সীমা থাকা দরকার।’ এরই মধ্যে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও জারি হল বিবৃতি। আরও পড়ুন: ‘খুব শিগগিরিই নতুন সরকারের ঘোষণা করব’, প্রস্তুতি পর্ব কেমন এগোচ্ছে জানাল তালিবান মুখপাত্র