লাক্ষাদ্বীপ: মলদ্বীপ-লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে বিতর্ক-টানাপোড়েন ক্রমশ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফর ও তারপরই মলদ্বীপের নেতা-মন্ত্রীদের কটাক্ষ ঘিরে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতীয়রাও। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রেন্ডিং ‘বয়কট মলদ্বীপ’। মলদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে সবাই ছুটছেন লাক্ষাদ্বীপে। এর মাঝেই সুখবর। লাক্ষাদ্বীপে তৈরি হচ্ছে আরও একটি নতুন বিমানবন্দর।
জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে, আরও একটি নতুন বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় আইল্য়ান্ডে এই বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। এখানে সামরিক ও অসামরিক-দুই ধরনের বিমানই ওঠা-নামা করতে পারবে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপে বিশ্বমানের বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিমানবন্দরটি এমন তৈরি করা হবে যে সেখানে অসামরিক বিমানের পাশাপাশি যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে। এমনই এক জয়েন্ট এয়ারফিল্ড তৈরি করা হবে। মলদ্বীপের চোখরাঙানির জবাব দিতে এবং ভারত মহাসাগরে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মিনিকয় দ্বীপে নতুন এয়ারফিল্ড তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই সময়ে জয়েন্ট এয়ারফিল্ড তৈরি নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এবার সরকারের তরফে একসঙ্গে সামরিক-অসামরিক এয়ারফিল্ড তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনের আরও প্রচার করার দিকে যেমন জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনই আরব সাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে এয়ারফিল্ড তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীকে এই এয়ারফিল্ড তৈরির দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নতুন প্রস্তাবনায় ভারতীয় বায়ুসেনাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে লাক্ষাদ্বীপের শুধু আগাটিতেই বিমানবন্দর রয়েছে।