রায়পুর: ক্ষোভের আগুন নিভতেই চায় না কংগ্রেসের অন্দরে। একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। পঞ্জাবের পর এবার পালা ছত্তীসগঢ়ের। শনিবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে যান। সঙ্গে যান টিএস দেও, যিনি সম্প্রতিই ক্ষোভ দেখিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে তাঁর আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক।
২০২৩ সালে ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে চরমে উঠেছে দুই মন্ত্রীর বিরোধ। দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করে যাচ্ছেন টিএস দেও। তাঁর বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই স্থির হয়েছিল যে তিনি ও ভূপেশ বাঘেল অর্ধেক মেয়াদ অবধি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। বাঘেলের আড়াই বছর পূর্ণ হলেও, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন না।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বলেন, “আমি দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। হিমাচল প্রদেশের নেতাদের সঙ্গেও সেখানেই দেখা করব।” উল্লেখ্য, আসন্ন হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে ভূপেশ বাঘেলকে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি রওনা দেওয়ার পরই দলীয় সূত্রে খবর পাওয়া যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস দেও-ও দিল্লি যাচ্ছেন। তিনিও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেই দেখা করবেন বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে লড়াইয়ের কারণেই সম্প্রতি, গত ১৬ জুলাই টিএস দেও পঞ্চায়েত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বলে সূত্রের খবর। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চার পাতার ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছিলেন যে,নির্বাচনের সময় জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পেরেই তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দুই মন্ত্রীর যে চুক্তি হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়াতেই টিএস দেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন। তবে সেই সময় দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করার পর সেই বিদ্রোহের আগুন নিভে যায়। কিন্তু সম্প্রতিই রাজ্যে হাসদেও আরন্দ জঙ্গলে কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন নিয়ে তিনি ফের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। এবার সেই বিক্ষোভের আঁচে জল ঢালতেই দুই নেতাকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।