রাজৌরি (জম্মু): জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজৌরি থেকে উপত্যকার মানুষদের জন্য এক বিশেষ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, গুজ্জর এবং বাকরওয়ালদের পাশাপাশি পাহাড়ি সম্প্রদায়ও শীঘ্রই তফসিলি উপজাতি (এসটি) হিসাবে শিক্ষা এবং চাকরিতে সংরক্ষণ পাবে। যদি পাহাড়িরা তফসিলি উপজাতির মর্যাদা পায়, তবে এটি হবে ভারতে কোনও ভাষাগত গোষ্ঠী সংরক্ষণের প্রথম উদাহরণ হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে তার জন্য সংসদে সংরক্ষণ আইন সংশোধন করতে হবে। উল্লেখ্য অমিত শাহ বলেছেন, “কমিশন (লেফটেন্যান্ট গভর্নর দ্বারা গঠিত) রিপোর্ট পাঠিয়েছে এবং গুজ্জর, বাকারওয়াল ও পাহাড়ি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে। এটি শীঘ্রই দেওয়া হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার আওতায় বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পরেই এই ধরনের সংরক্ষণের বিষয় আনা সম্ভব হয়েছে। এখন এখানকার সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী, পাহাড়িরা তাদের অধিকার পাবে।” উল্লেখ্য, জম্ম ও কাশ্মীরে পাহাড়ি সম্পদায়ের মানুষদের জনসংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ হিন্দু এবং বাকিরা মুসলিম।
এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপত্যকার রাজনীতি নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাতে চাই জম্মু ও কাশ্মীরকে তিনটি পরিবারের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য। যাঁরা এখানে এতদিন ধরে শাসন করেছিল।” তিনি কোনও পরিবারের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, যদিও তাঁর ইঙ্গিত ছিল মুফতিদের পিডিপি এবং আবদুল্লাহদের ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার। অন্তত এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে শেষবার ২০১৮ সালে একটি নির্বাচিত সরকার ছিল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পিডিপির মেহবুবা মুফতি এবং তাদের একটি ছোট অংশীদার ছিল বিজেপি। একসময় ন্যাশনাল কনফারেন্সও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তবে এখন জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এবং এমন অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের জন্য় এই সংরক্ষণের ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।