শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের (Kashmir) প্রকল্পগুলি কোন অবস্থায় আছে, তা জানতেই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার দিল্লিতে একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বসেছে সেই বৈঠক। উপত্যকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
এই বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, আইবি ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার, ‘র’ প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েল, সিআরপিএফ ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ সিং ও জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। সূত্রের খবর, অমিত শাহ ওই বৈঠকে বলেছেন, কাশ্মীরের ও কাশ্মীর বাসীর সার্বিক উন্নয়নই মোদী সরকারের মূল লক্ষ্য।
কাশ্মীরের টিকাকরণের অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার প্রশংসা করেছেন অমিত শাহ। কাশ্মীরে ১০০শতাংশ টিকাকরণই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যার মধ্যে ৭৬ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে ইতিমধ্যেই। কাশ্মীরের কৃষকদের নিয়েও এ দিনের বৈঠকে কথা হয়েছে। সীমান্তের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কৃষকেরা যাতে সঠিকভাবে প্রধানমন্ত্রী কৃষক যোজনার সুবিধা পান, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, সে দিকে নজর দিতে বলেছেন শাহ। শুধু কৃষি নয়, ক্ষুদ্র শিল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কাশ্মীরবাসীদের জন্য অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ভারতের আইন আপনারা মানতে বাধ্য’, ৯৫ মিনিট ধরে জবাবদিহি টুইটার আধিকারিকদের
অমিত শাহ জানিয়েছেন, নতুন পঞ্চায়ের সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের মধ্যে সবথেকে উন্নয়নশীল পঞ্চায়েত যাতে কাশ্মীরে হয়, সে দিকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি। শুধু কাশ্মীরবাসী নয়, শরণার্থীরা যাতে দ্রুত তাঁদের জন্য বরাদ্দ প্যাকেজ পেতে পারেন, সেই বিষয়টিও আলোচনায় তুলে আনেন অমিত শাহ।
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওইদিন উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ দিন কার্ফু জারি ছিল কাশ্মীরে, বির্স্তী অঞ্চলে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট।