নয়া দিল্লি : সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সীমান্তে অশান্ত পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনাকারীদের উদ্দেশে এদিন অমিত শাহের বার্তা, “নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৬ সালে উরি এবং ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। আমরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে ১০ দিনের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বিমান হামলা চালিয়ে এর জবাব দিয়েছিলাম।” পাশাপাশি এদিন ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আমেরিকা এবং ইজরায়েলের সঙ্গেও তুলনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন কর্নাটকে এক জনসভায় এই প্রসঙ্গে কথা বলেন শাহ। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে শাহের বারংবার কর্নাটক সফর নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। বিগত এক মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কন্নড় ভূমিতে পা রাখলেন বিজেপির চাণক্য।
এদিন অমিক শাহ বলেন, “এর আগে শুধুমাত্র দুটি দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলই এমন দু’টি দেশ ছিল, যাদের সীমান্তে কেউ হামলা করলে বা সামরিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তখনই তারা প্রতিশোধ নিত। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমাদের মহান দেশ ভারতও সেই দলে যোগ দিয়েছে।” এদিকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাবের কটাক্ষ করে এদিন শাহ বলেন, “কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন কীভাবে এটা (সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক) কোনও প্রভাব ফেলল। আমি তাদের বলতে চাই যে এটা (পাল্টা আক্রমণ) ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এখন গোটা বিশ্ব জানে ভারতীয় সীমান্তে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, নইলে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে তোপ দাগেন শাহ। তিনি বলেন, “যখনই পাকিস্তান-সমর্থিত চরমপন্থীরা সন্ত্রাসী হামলা চালাত, তখনই ভারত শুধু বিবৃতি জারি করত। কিন্তু মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।” মোদী সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে শাহ ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাশের বিষয়টি তুলে ধরেন। শাহ বলেন, “২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। লোকে বলেছিল ৩৭০ ধারা বাতিল হলে রক্তস্নাত হবে কিন্তু কেউ পাথর ছুড়তেও সাহস পায়নি, রক্তস্নাত তো দূরের কথা। প্রধানমন্ত্রী মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে বাকি ভারতের সাথে যুক্ত করেছেন।”