Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে হিংসা কবলিত মণিপুরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

May 26, 2023 | 12:03 AM

Manipur Violence: ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর। গতকাল উত্তেজিত জনতা মণিপুরের পূর্ত মন্ত্রীর বাসভবনে ভাঙচুর চালায়। এবার শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি তিনদিনের জন্য মণিপুরে যাবেন বলেও জানান।

Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে হিংসা কবলিত মণিপুরে যাচ্ছেন অমিত শাহ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি:PTI

Follow Us

গুয়াহাটি: ফের একবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মণিপুর (Manipur Violence)। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মাসের শুরুর দিকেই অশান্তি, হিংসা বাঁধে। তারপর সেনা, আধাসেনা ও অসম রাইফেলস বাহিনী মোতায়েন করে মণিপুরে সাময়িক শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়। তবে এক স্থানীয় বাজারের দখল নিয়ে ফের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কয়েকটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরই গতকাল মণিপুরের পূর্ত মন্ত্রী কোনথোউজাম গোবিনদাসের বাড়িতে হামলা চালায় বিষ্ণুপুর জেলার নিংথোউকং এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগে, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং, গোবিন্দ এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা রাজ্যের এই হিংসার ঘটনা নিয়ে নীরব রয়েছেন এবং সশস্ত্র জঙ্গিদের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এই আবহে আজ মণিপুরবাসীর কাছে শান্তি রক্ষার আবেদন জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি সশরীরে মণিপুরে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।

গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠান থেকে শাহ বলেন, “আদালতের রায়ের পর মণিপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমি উভয় সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করব, তাঁরা যেন শান্তি বজায় রাখেন এবং সবার সঙ্গে ন্যায়বিচার করা হবে। আমি নিজে কিছুদিন পর মণিপুরে যাব এবং সেখানে তিনদিন থাকব এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মণিপুরের মানুষের সঙ্গে কথা বলব।” এদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে নতুন করে অশান্তি বেঁধেছে। বৃহস্পতিবার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারা হয়েছে এবং বেশ কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই মাসেই শুরুর দিকে মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। কার্ফু জারি হয়। বন্ধ হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। ওই হিংসায় প্রায় ৭০ জনের প্রাণ গিয়েছিল বলে জানা যায়। আর প্রাণ বাঁচাতে ওই হিংসার সময় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। বাড়ি খালি পড়ে থাকে। প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর সেনা, আধা সেনা,অসম রাইফেলসের বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি নিয়েই এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। এখনও সেই মাঝে মাঝেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এই আবহে নিজে গিয়ে মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমবন্ত্রী। পাশাপাশি সমাধানা সূত্র বাতলে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

Next Article