গুয়াহাটি: নতুন করে ইতিহাস লিখতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার অসমের এক সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের তথাকথিত সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। নতুন ইতিহাস লেখার ব্যাপারে শুধু ইচ্ছা প্রকাশ নয়, ইতিহাসের ছাত্র, গবেষক থেকে যুবদের উৎসাহও দেন শাহ।
অসমের সরাইঘাট যুদ্ধের হিরো কম্যান্ডার জেনারেল লাচিত বারফুকানের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অসম সরকারের তরফে দু-দিন ব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেরই দ্বিতীয় দিনে যোগদান করে ইতিহাস বদলের দাবি জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, অনেক ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “আমি ইতিহাসের ছাত্র এবং অনেকবার আমি শুনেছি যে, আমাদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি, অনেক বিকৃত করা হয়েছে। হতে পারে একথা সঠিক। কিন্তু, আমরা এটা সঠিক করে তুলতে চাই।” এপ্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইতিহাসবিদদের উদ্দেশ্যে শাহের মন্তব্য, “বর্তমান ইতিহাস উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা থেকে কে আমাদের আটকাবে?”
অসমের হিরো লাচিত বারফুকানের ইতিহাসও সম্পূর্ণ সঠিকভাবে তুলে ধরা নেই বলে দাবি অমিত শাহের। সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে ইতিহাসের সমস্ত ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের এই বিষয়ে গবেষণা করারও আবেদন জানান তিনি। শাহের কথায়, “একবার লেখাটাই যথেষ্ট নয়। মিথ্যা আখ্যান প্রচার করা হবে, এমনটা আর চলবে না।” ইতিহাস ছাত্রদের গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার বার্তা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এগিয়ে এস, গবেষণা কর এবং নতুন করে ইতিহাস লেখ। এভাবেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
এদিন নতুন করে ইতিহাস লেখার দাবি তোলার পাশাপাশি অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের আবেগকেও উসকে দেন অমিত শাহ। লাচিত বারফুকানকে লেখা বই ১০টি ভাষায় অনুবাদ করার জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আবার ভারত থেকে সর্বদা উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় বলে সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, “গোটা দেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সেতু স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” সবমিলিয়ে, লাচিত বারফুকানের জন্মবার্ষিকীতে যোগ দিয়ে অসমবাসীর আবেগ উসকে দিলেন অমিত শাহ।