বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৩ সালে। তার আগে দলের মধ্যে অসন্তোষ কাটাতে কর্নাটকের মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করে বিদ্রোহীদের ঠেকানোর চেষ্টাও করতে দেখা গিয়েছে শাহকে। এমনকি কর্নাটকের বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়েও জানতে চেয়েছেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। এ ছাড়াও সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কর্নাটক বিজেপির রাজ্যে সেক্রেটারি, দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতা।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বহু নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে কর্নাটকে সরকার গড়ে বিজেপি। ২০২৩ সালের ভোটেও কর্নাটকে ক্ষমতা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর গেরুয়াশিবির। সে জন্য যে সব এলাকায় কংগ্রেস এবং জনতা দল শক্তিশালী, সেই সব এলাকার দিকে বিশেষ নজর রয়েছে তাদের। এ জন্য পুরনো মাইশোরের মতো এলাকার দিকে বিশেষ নজরের বিষয়টি উঠে এসেছে শাহের বৈঠকে।
কর্নাটেক আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উন্নয়ন এবং হিন্দুত্ব তাসে ভরসা রাখছে বিজেপি। কিন্তু এর পাশাপাশি বিরোধীদের দুর্বলতার জায়গায় জোরালো আঘাত করার পরিকল্পনাও নিয়ে তাঁরা। ধর্মীয় বিভাজনের ব্যাপারেও তা তুলে ধরতে মরিয়া বিজেপি। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সম্প্রতি পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া নামে এক ইলসামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সিদ্দারামাইয়ার আমলে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলবে বিজেপি। কেবল মাত্র বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই ধরনের সংগঠন এবং তাঁর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব বলেও দাবি করবে বিজেপি।