পটনা: যত না বৃষ্টি পড়ছে, তার থেকে বোধহয় বেশি সেতু ভেঙে পড়ছে বিহারে। আজ ভেঙে পড়ল আরও একটা। সেতুর ছিল সিওয়ান জেলার গন্ডাকি নদীর উপর। বুধবার (৩ জুন) সকালে, সেতুটির একটি অংশ ধসে পড়েছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে রাজ্যে সপ্তম সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল। সিওয়ান জেলার দেওরিয়া ব্লকে অবস্থিত এই ছোট সেতুটি মহারাজগঞ্জের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছিল। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সেই গ্রামগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত ১১ দিনে সিওয়ান জেলায় এই নিয়ে দ্বিতীয় সেতু ভেঙে পড়ল।
জেলার ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট কমিশনার মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, সেতুটি কেন ভেঙে পড়ল, তার তদন্ত করা হচ্ছে। ব্লকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তিনি বলেছেন, “আজ সকালে দেওরিয়া ব্লকের একটি সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে। এখন পর্যন্ত সঠিক কারণ জানা যায়নি। ব্লকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আমিও সেখানে যাচ্ছি।” জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২-৮৩ সালে সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরে সেতুটিতে মেরামতির কাজ চলছিল বলে দাবি করেছে প্রশাসন। তার মধ্যেই সেতুটি ভেঙে পড়ল। আশপাশের গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। যার জেরে গণ্ডকী নদীর জল বেড়েছে অনেকটা। সেই জলের প্রবল ঢেউয়ে সেতুটির কাঠামো দুর্বল হয়ে থাকতে পারে।
Another Bridge collapses in Bihar’s Siwan pic.twitter.com/AlTg3Ijapz
— Nalanda Index (@Nalanda_index) June 22, 2024
তবে, বিহারে সেতু ভেঙে পড়া যেন এক বিপজ্জনক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। মাত্র ১১ দিন আগেই সিওয়ান জেলাতেই ভেঙে পড়েছিল আরেকটি সেতু। ওই ঘটনা ঘটেছিল দারুন্ডা এলাকায়। ২২ জুন সেখানে একটি সেতুর একটা অংশ ধসে যায়। তবে শুধু সিওয়ান জেলাতেই নয়, অতি সম্প্রতি, মধুবনি, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারন এবং কিষাণগঞ্জ জেলা থেকেও একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই একের পর এক সেতু ধসে পড়ায়, বিহারের পরিকাঠামোগুলির অবস্থা নিয়ে জনমানসে ক্রমে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে একাধিক নির্মীয়মান সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্নীতির প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চাপের মুখে, এই ঘটনাগুলির তদন্ত করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে বিহার সরকার।