নয়া দিল্লি : বুধবার সকাল থেকে দিল্লির প্রবর্তন ভবনে দফায় দফায় চলছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেরা। গরু পাচারের মূল পাণ্ডা কে? কোথায় যেত গরু পাচারের (Cattle Smuggling) টাকা? এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অফিসারদের সেই জেরার মুখে নাকি কেঁদে ফেললেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। যাঁর দাপটের কথা একসময় ছিল সর্বজনবিদিত, সেই কেষ্ট মণ্ডল প্রথম দিনের জেরাতেই ভেঙে পড়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। মঙ্গলবার মধ্যরাতে অনুব্রতর মামলার শুনানি হয়। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে শুনানি হয় রাত ১২ টার পর। সেই শুনানি শেষে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর রাত কাটে প্রবর্তন ভবনেই। আর বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে জেরা।
ইডি সূত্রে খবর, এদিন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীর বয়ানের রেকর্ড তাঁর সামনে তুলে ধরেন তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রথমে সে সব অনুব্রত অস্বীকার করেন বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু এড়াতে পারলেন না মেয়ে সুকন্যার বয়ান। সেই সঙ্গে প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেনের বয়ান তুলে ধরতেই এদিন নাকি অফিসারদের সামনে কেঁদে ফেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
সূত্রের খবর, এদিন তিনি ইডিকে বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি।’ কিন্তু জেরা চলাকালীন ‘ধমক’ দেন আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করার জন্য ৬ অফিসারের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গরু পাচারে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন অফিসাররা। তিনিই গরু পাচারের মূল পান্ডা কি না জানতে চান।
অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দিল্লিতে ইডি দফতরে। আর প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছেন। সুতরাং অনুব্রতকে কোন বয়ান সামনে রেখে প্রশ্ন করা হবে, তা আগে থেকে প্রস্তুত ছিল বলেই ধরে নেওয়া যায়। সম্ভবত সই সব অস্ত্রই প্রয়োগ করছেন আধিকারিকরা। ইডি-র তরফে যে দল গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় এই সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর বিবেক আর ওয়াদেকার, স্পেশাল ডিরেক্টর রাহুল নবীন, সনিয়া নারাং, স্পেশাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা, সুনীল কুমার যাদব, যোগেশ শর্মা ও সোহান কুমার শর্মার মতো তাবড় অফিসাররা।