নয়া দিল্লি: পৃথক সেলেই রাখা হয়েছে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ দলের অন্যতম বড় নেতা মণীশ সিসোদিয়া। সেখানে এমন পরিবেশ যে চাইলে তিনি কারাগারের মধ্যে ধ্যান করতে পারবেন। বা ওই ধরনের অন্য কোনও কাজ করতে পারবেন। আপের অভিযোগ উড়িয়ে এমনই জানাল দিল্লির কারা বিভাগ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মণীশ সিসোদিয়াকে একটি পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সিজে-১ নামে যে ওয়ার্ডে তাঁকে রাখা হয়েছে, সেখানে সামান্য কয়েকজন কয়েদি আছে। তারা কেউ গ্যাংস্টার নয়। বরং কারাগারের ভিতরে ভাল আচরণের জন্য পরিচিত।” এর আগে, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, দেলের মধ্যে তাঁকে নাকি ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করা হচ্ছে। রাখা হয়েছে দুর্ধর্ষ সব অপরাধীদের সঙ্গে, যাদের একেকজনের নামে বহু হত্যার মামলা রয়েছে। এই সব বিপজ্জনক বন্দিদের দিয়েই মণীশ সিসোদিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দিল্লির নয়া আবগারি নীতিকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগে গত মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়াকে। আপাতত তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন, ঠাঁই হয়েছে তিহার সংশোধনাগারে। আপ-এর মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, “আপনারা (বিজেপি) দিল্লিতে আমাদের হারাতে পারেননি। এমসিডি নির্বাচনেও আপনারা আমাদের পরাজিত করতে পারেননি। আপনাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও, আমাদের প্রার্থীরা মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা লক্ষ্যনীয়। আমরা এখন উদ্বিগ্ন যে কেন্দ্র কি রাজনৈতিক হত্যার কৌশল নেবে?” আরেক আপ নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় সিং-ও একই সুরে বলেছেন, ‘মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে খুন করা হতে পারে। মোদীজি, মিস্টার সিসোদিয়ার সঙ্গে আপনার শত্রুতা কীসের, এত ঘৃণা কেন? আদালত যখন তাকে মেডিটেশন সেলে থাকার অনুমতি দিয়েছে, তাহলে সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না কেন?”
গত সোমবার, মণীশ সিসোদিয়াকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল এক বিশেষ আদালত। সিসোদয়ার অনুরোধ মেনে জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁকে মেডিটেশন সেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। ২০২১ সালে নয়া মদ নীতি জারি করেছিল আপ সরকার। সেই নীতি জারি করে নিয়ম ভেঙে মদ বিক্রির লাইসেন্সধারীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের বিরুদ্ধে। আপ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য বিজেপি তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে।