নয়া দিল্লি: আপাতত স্বস্তি! ফের দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি পিছল। এবার ইডির আর্জিতে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানির আগেই পাল্টা মামলা করলেন কেষ্টর আইনজীবী। এবার কেন তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট করা হল, তা জানতে চেয়ে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করা হয়। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানি পিছল। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে। দিল্লি যাত্রা এড়াতেই অনুব্রতর নতুন মামলা বলে দাবি বিরোধীদের।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে কেন শ্যোন অ্যারেস্ট করা হল, তার কারণ জানতে চেয়ে বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভামবানির এজলাসে মামলা করা হয়েছে।
সেই মামলায় বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভামবানি বলেন, এই মামলা আমি আগে শুনেছি। আর শুনব না। তাই এই মামলা লিস্টেড হবে coordinate bench। প্রধান বিচারপতি ঠিক করবেন মামলা কোন বেঞ্চে শুনানি হবে। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানি আরও ২ দিন পিছল। আগামী ১১ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানি হবে।
যদিও অনুব্রত মণ্ডলের তরফে নতুন মামলা দায়ের তাঁর দিল্লি যাত্রা এড়ানোর কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে দীর্ঘদিন গ্রেফতার করে রাখা নিয়ে আদালতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আদালতে তাঁর প্রশ্ন, এই মামলায় ৯৯ জন সাক্ষ্য রয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। এত বিলম্ব কেন হচ্ছে? গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে মূল চক্রী কেন বলা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, কেন অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় মূল চক্রী বলা হচ্ছে? এতদিন তো এনামুল হককে এই মামলার মূল চক্রী বলা হত। তাহলে এখন কেন অনুব্রত মণ্ডলের নাম আসছে? তাঁর আর যুক্তি, ১৪৫ দিনেরও বেশি সময় কেন তাঁকে (অনুব্রত মণ্ডলকে) গ্রেফতার করে রাখা হচ্ছে? অনুব্রতর মামলার শুনানিতে বেঞ্চ বদলেরও দাবি তুলেছেন তিনি। কপিল সিব্বল যেভাবে একের পর এক প্রশ্ন তুলে ধরছেন, তাতে তিনি সময় বিলম্ব করছেন বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয় এবং সেই মামলায় দুবরাজপুর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। যার জেরে সেই সময় অনুব্রতর দিল্লি যাওয়া থমকে যায়। এবার আরও এক নতুন গেড়ো।