Anubrata Mondal: ৪ দিন কাটতেই না কাটতেই তিহাড়ে মন বসছে না কেষ্টর, আসানসোলে ফিরতে চেয়ে আবেদন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Mar 25, 2023 | 5:41 PM

আগামী ৩ এপ্রিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে রঘুবীর সিংয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।

Anubrata Mondal: ৪ দিন কাটতেই না কাটতেই তিহাড়ে মন বসছে না কেষ্টর, আসানসোলে ফিরতে চেয়ে আবেদন
অনুব্রত মণ্ডল

Follow Us

নয়া দিল্লি: তিহাড় (Tihar Jail) নয়, আসানসোলেই থাকতে চান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিষয়টি জানিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। আসানসোল (Asansol) জেলে ফেরার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। আগামী মাসে তাঁর এই আবেদনের শুনানি রয়েছে। ১৩ দিনের জেল হেফাজত শেষের দিনই এই নতুন মামলার শুনানি হবে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে।

জানা গিয়েছে, শনিবারই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের আসানসোলে জেলে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। যদিও কেন তিহাড় জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন জানাচ্ছেন অনুব্রত, তা স্পষ্ট নয়। আগামী ৩ এপ্রিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে রঘুবীর সিংয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিনই অনুব্রতর তিহাড়ে না থাকার ইচ্ছার কারণ যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অনুব্রতর ১৩ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ সেদিনই শেষ হচ্ছে।

অনুব্রত মণ্ডলকে বর্তমানে ১৩ দিনের জন্য তিহাড় জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু, ১৩ দিন দূর অস্ত, ৪ দিন পেরোনোর আগেই আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কেষ্ট। যদিও জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষের দিনই এই মামলার শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে চলতি মাসের ৭ তারিখ দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। কিছুদিন ইডি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর গত মঙ্গলবার তাঁকে ১৩ দিনের জেল হেফাজত দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তিহাড় জেলের ৭ নম্বর সেলে ঠাঁই হয় তাঁর। কিন্তু, চারদিন পেরোনোর আগেই তিহাড় জেলে আর থাকতে না চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত। তিহাড় জেলে যাওয়ার পরই থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। আবার তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে বা বুঝতে পারেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে তাঁর সুবিধার জন্য দোভাষী রাখার কথাও বলা হয়েছে আদালতের তরফে। বিশেষ অসুস্থতা বোধ করলে তিনি দোভাষীর সাহায্য নিতে পারেন। বিশেষ পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু, আদালতের তরফে এত ব্যবস্থাপনার পরেও ভাল নেই কেষ্ট!

Next Article