কয়লা-কাণ্ডে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সিবিআই বারবার ডাকলেও আগামী দেড় মাস স্বস্তিতেই লালা

Jun 01, 2021 | 12:51 PM

জুলাইয়ের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।

কয়লা-কাণ্ডে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সিবিআই বারবার ডাকলেও আগামী দেড় মাস স্বস্তিতেই লালা
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) আবারও স্বস্তি অনুপ মাজি ওরফে লালার। জুলাই পর্যন্ত তাঁর রক্ষাকবচ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। জুলাইয়ের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে।

গত নভেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে মামলা দায়ের করে সিবিআই। দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। হাতে আসে অনুপ মাজি ওরফে লালা নামে এক মাঝ বয়সী লোকের নাম, কয়লা পাচার করে যিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। তাঁকে খুঁজতে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাড়িতে প্রথম হানা দেয় সিবিআই। একইসঙ্গে কলকাতায় তাঁর বাড়ি ও অফিসেও যান তদন্তকারীরা। যদিও লালার দেখা তাঁরা পাননি। তবে লালার জাল যে বহু দূর ছড়িয়েছে, তা বুঝতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।

এরপর একের পর এক নাম সিবিআইয়ের জালে উঠে আসে। তালিকায় তৃণমূল নেতা বিকাশ মিশ্র, ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়াদের মতো একাধিক প্রভাবশালীর নামের সঙ্গে নাম জড়ায় পুলিশ অফিসার, ইসিএল আধিকারিকদের একাংশেরও। এরইমধ্যে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা থেকে পলাতক ঘোষণা, সবকিছুই করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লালাকে হেফাজতে নিতে আদালতের নির্দেশের আর্জি জানায় সিবিআই।

আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের মাছ বিক্রেতা অনুপই আজ কয়লাচক্রের ‘কিংপিন’ লালা

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট লালাকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়নি। তবে শর্ত দিয়েছিল, লালাকে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। এরই মধ্যে গত ৩০ মার্চ কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে প্রথমবার হাজিরা দেন লালা। তার পর থেকে বহুবার তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন। সিবিআইও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে অভিযোগ নিয়ে, ‘লালা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।’ এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অনুপ মাজি ওরফে লালার মামলার শুনানি ছিল। বেঞ্চ জানায়, আপাতত লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না। পরবর্তী শুনানি জুলাইয়ের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Next Article