চেন্নাই: কয়েকদিন আগেই সর্বসম্মতভাবে তাঁর দল এআইএডিএমকের (AIDMK) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচত হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী (E Palaniswami)। দায়িত্বভার নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্য আদালতের রায়ে বড় ধাক্কার মুখে পালানিস্বামী। বুধবার মাদ্রাজ আদালত (Madras High Court) জানিয়েছে, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পালানিস্বামীর নিয়োগ কোনওভাবেই বৈধ নয়। দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশ নিঃসন্দেহে পালানিস্বামী শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ু থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল এআইএডিএমকে। ই পালানিস্বামী ও ও পনিরসেলভমের (O Panneerselvam) যৌথ নেতৃত্বেই নির্বাচনে পরাজয়ের মুখ দেখেছিল এএআইএডিএমকে শিবির। নির্বাচনে বিপর্জয়ের পরেও যৌথ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম চললেও সম্প্রতি দুই শীর্ষ নেতার মধ্য দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
দলে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী পালানিস্বামী শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে যে দলকে একক নেতৃত্বে চলতে হবে। তবে পনিরসেলভম সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মোটেও সহমত ছিলেন না। দলের ভবিষ্যত নেতা বেছে নিতে জেনারেল কাউন্সিল বৈঠক ডেকেছিল পালানিস্বামী শিবির। সেই বৈঠক নিয়ে দ্বন্দ্ব শেষে আদালতে পৌঁছয়। আদালতে মামলা করে বৈঠকের বিরোধিতা করেন পনিরসেলভম। তবে শেষমেশ মাদ্রাজ আদালত জেনারেল কাউন্সিল বৈঠকের অনুমোদন দিয়েছিল।
পালানিস্বামী শিবির জানিয়েছিল, এআইএডিএমকতে দ্বৈত নেতৃত্বে আর বলবৎ নেই কারণ ২৩ জুনের দলীয় বৈঠকে দ্বৈত নেতৃত্বকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশের পর জেনারেল কাউন্সিল বৈঠক বসে এবং সেখানে ২ হাজার ৫০০ সদস্যের জেনারেল কাউন্সিল একক নেতৃত্বের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানিয়েছিল। বৈঠকেই দলের অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদকরূপে নির্বাচিত হয়েছিলেন পালানিস্বামী। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েই জয়ললিতার বিশেষ আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত পনিরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন পালানিস্বামী। মাদ্রাজ আদালতের এদিনের রায়ে ধাক্কা খেল পালানিস্বামী শিবির। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোনও দিকে যায় সেটাই এখন দেখার।