লখনউ: আজ থেকে বারাণসীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদে শুরু হল বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা। সোমবার সকাল ৭টায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এই সার্ভে বা সমীক্ষা শুরু করে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সমীক্ষার সময়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত রয়েছেন। গত ২১ জুলাই বারাণসীর জেলা আদালত জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করার অনুমতি দেয়। যদিও আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন মসজিদ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্র অনুযায়ী, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কর্মীরা জ্ঞানব্যাপী মসজিদের সমীক্ষা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, মসজিদে ওজ়ুখানা ছাড়া বাকি অংশটির সমীক্ষা করা হবে। আগামী ৪ অগস্ট এই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ওজ়ুখানা থেকেই একটি কাঠামোর খোঁজ মেলে, যার আকার শিবলিঙ্গের মতো।
গত শুক্রবারই বারাণসী জেলা আদালতের তরফে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের সমীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয় এএসআই-কে। চার মহিলা আদালতে দাবি করেছিলেন, হিন্দু মন্দির ভেঙে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। আসল তথ্য সামনে আনার জন্য বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার প্রয়োজন। ওজ়ুখানা বাদ দিয়ে মসজিদের বাকি অংশের সমীক্ষা করা হোক। আদালতের তরফে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়ার সময় জানানো হয়, সত্য তথ্য সামনে আনার জন্য সমীক্ষার প্রয়োজন।
এদিকে, মসজিদ কমিটির তরফে এই প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষায় আপত্তি করা হয়। তাদের দাবি, এএসআই-র সমীক্ষা করা হলে মসজিদের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই নিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টেও পিটিশন দাখিল করেছেন।
২০২১ সালে প্রথম জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়। চার মহিলা দাবি করেন, মসজিদের ভিতরে দেওয়ালে শৃঙ্গার গৌরি দেবস্থান রয়েছে। এই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি চেয়েই আর্জি দাখিল করা হয়। এরপরে ২০২২ সালের ১৬ মে মসজিদের অন্দরে ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষায় দাবি করা হয়, ওজ়ুখানায় একটি বস্তু পাওয়া যায়। সেটির আকার শিবলিঙ্গের মতো। হিন্দু পক্ষের তরফে দাবি করা হয়, এটি শিবলিঙ্গ। অন্যদিকে, মসজিদ কমিটির তরফে দাবি করা হয়, ওটি শিবলিঙ্গ নয়, ফোয়ারা। এই বিতর্ক আদালত অবধি গড়ায়।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।