অগ্নিবীরদের আরও বেশি পাকা চাকরি হোক, বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে সেনা

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jul 06, 2024 | 12:53 PM

Agnipath Scheme: বিরোধীদের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ শেষে অগ্নিবীররা অন্য কোনও কাজেও সুযোগ পাচ্ছে না। 

অগ্নিবীরদের আরও বেশি পাকা চাকরি হোক, বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে সেনা
ফাইল চিত্র
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: বিতর্কের শেষ নেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে। অগ্নিপথ প্রকল্পের মেয়াদ এবং অগ্নিবীরদের ভবিষ্যত নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাতে পারে সেনাবাহিনীও। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে অগ্নিপথ প্রকল্পের বয়সসীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করার আবেদন জানাতে পারে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে অগ্নিবীরদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই দুই বছর আগে আনা হয়েছিল অগ্নিপথ প্রকল্প। যেখানে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সীদের সেনার তিন বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। মোট ৪ বছর সেনা বাহিনীতে কাজ করার সুযোগ মেলে। এর মধ্যে ৬ মাস প্রশিক্ষণ এবং বাকি সাড়ে ৩ বছর সেনা বাহিনীতে পরিষেবা দিতে পারেন অগ্নিবীররা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে, ২৫ শতাংশ অগ্নিবীররা স্থায়ীভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পান। বাকিদের এককালীন মোটা অঙ্কের পেনশন এবং পুলিশ সহ অন্যান্য সরকারি চাকরিতে অগ্রগণ্যতা দেওয়া হয়।

তবে এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ শেষে অগ্নিবীররা অন্য কোনও কাজেও সুযোগ পাচ্ছে না।

সূত্রের খবর, এবার সেনাবাহিনীর তরফে অগ্নিপথ প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হবে কেন্দ্রের কাছে। প্রথম প্রস্তাবই হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করা। এতে স্নাতক পাশরাও এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারবে এবং তাদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে।

এর পাশাপাশি অগ্নিবীরদের মধ্যে ৫০ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হবে। বর্তমানে ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরদেরই সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়। এরফলে ৪ বছরের মেয়াদ শেষের পরে একটা বড় শূন্যস্থান তৈরি হয় সেনাবাহিনীতে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই অগ্নিবীরদের সেনায় নিয়োগের হার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন, সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন কোনও অগ্নিবীরের মৃত্যু হলে, তাঁকে যেমন শহিদের তকমা দেওয়া হয় না। তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় না সেনাবাহিনীর তরফে। তবে সেনার তরফে রাহুলের এই দাবি নসাৎ করে জানানো হয়েছে, শহিদের পরিমাণকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকাও দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে।

Next Article