নয়া দিল্লি: যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা বা পকসো (POCSO) আইনের অধীনে দায়ের হওয়া এক মামলায়, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন), জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে। তবে, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরই, এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। এই মামলার তদন্ত করছে বেঙ্গালুরু পুলিশের সিআইডি। আগেই তারা এই মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইয়েদুরাপ্পাকে। তবে, সিআইডির তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন বিজেপি নেতা। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তিনি বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের কাজে দিল্লিতে আছেন। বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসার পর, তিনি তদন্তে যোগ দিতে পারেন। প্রথম থেকেই অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইয়েদুরাপ্পা।
বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইনের অধীনে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-র ক ধারা, অর্থাৎ, যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এক ১৭ বছর বয়সী নাবালিকার মা, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে, তাঁর মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। গত মার্চ মাসেই, বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেছিলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে, একটি বিষয়ে সাহায্য চেয়ে তিনি মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ডলারস কলোনিতে অবস্থিত ইয়েদুরাপ্পার বাসভবনে। সেই সময়ই তাঁর মেয়েকে আলাদা করে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা এবং তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিল। গত মাসেই এক বেসরকারি হাসপাতালে, ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তাহলে কি গ্রেফতার করা হবে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে? বৃহস্পতিবার কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেছেন, “প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। আমি এটা বলতে পারব না। সিআইডি বলতে পারবে তাদের সেই প্রয়োজন আছে কিনা। তারা যদি প্রয়োজন মনে করে, করবে।” কংগ্রেস নেতা আরও জানিয়েছেন, পদ্ধতি মেনে ইয়েদুরাপ্পাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সিআইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলেছে। ১৫ জুনের আগেই চার্জশিট দাখিল করবে সিআইডি। তার জন্য পদ্ধতি মেনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। তাঁকে আদালতে হাজির করতে হবে।”