‘AI-এর জন্য তো কাস্টমার সার্ভিস, ডেটা এন্ট্রির চাকরি চলে যাবে’, কী ভাবছে সরকার? সংসদে উত্তর দিলেন মন্ত্রী

Jul 29, 2024 | 6:43 PM

Jobs in India: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্ত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট হননি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থানের জন্য স্কিম আনলেও তাতে কর্মীদে সুরক্ষা বাড়েনি। কল্যাণের প্রশ্ন ছিল, বেসরকারি সংস্থাগুলি 'হায়ার অ্যান্ড ফায়ার' পলিসি নিয়ে চলে, ফলে কর্মীদের সুরক্ষা নেই।

AI-এর জন্য তো কাস্টমার সার্ভিস, ডেটা এন্ট্রির চাকরি চলে যাবে, কী ভাবছে সরকার? সংসদে উত্তর দিলেন মন্ত্রী
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: ইন্টারনেটের দুনিয়ায় অনেক সহজ হয়েছে জীবনযাত্রা। আর আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স তো আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে প্রযুক্তি নির্ভরতাকে। মুখ থেকে ফেললেই কাজ হয়ে যাচ্ছে! এআই-এর এমনই ম্যাজিক। তবে এই আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের প্রভাবে কী ক্ষতি হতে পারে, সেই তথ্যও উঠে আসছে আলোচনায়। সব কাজ যদি প্রযুক্তিই করে দেয়, তাহলে মানুষ কি কাজ হারাবে? এই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এবার সংসদেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ।

সোমবার সংসদে একটি সমীক্ষার কথা তুলে ধরেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উল্লেখ করেন, এআই-এর ব্যবহারের ফলে চাকরির ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব পড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন, সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে, ভারতে বর্তমান মোদী সরকারের আমলেই ৬৯ শতাংশ মানুষের চাকরি চলে যাবে। বিশেষ করে কাস্টমার সার্ভিস, ডেটা এন্ট্রির মতো ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের কি এ বিষয়ে কোনও প্ল্যানিং আছে?

যোগাযোগ সহজ হওয়ার পরও মানুষের যাতায়াত কমেনি, সে কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন মান্ডব্য। তিনি বলেন, “মোবাইল আসার পরও অনেক আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রেল বা বিমানে ভিড় কমেছে কি? কোভিডের সময় ভারতে মৃত্যু অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে জনসংখ্যার নিরিখে অনেক কম মৃত্য়ু হয়েছে।” অর্থাৎ মন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, আশঙ্কা যে সবসময় সত্যি হয়, তা নয়।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই জবাবে সন্তুষ্ট হননি। তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থানের জন্য স্কিম আনলেও তাতে কর্মীদে সুরক্ষা বাড়েনি। কল্যাণের প্রশ্ন ছিল, বেসরকারি সংস্থাগুলি ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ পলিসি নিয়ে চলে, ফলে কর্মীদের সুরক্ষা নেই। এর উত্তরে মনসুখ মান্ডব্য বলেন, ‘কোনও সংস্থাই নিজের ইচ্ছায় কর্মীদের ছাঁটাই করে না।’

Next Article