বিভিন্ন ক্ষেত্রেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বাড়ছে। আগামী দিনে এই ক্ষেত্রে কাজের সুযোগও যে বাড়বে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এর জন্য চাই দক্ষ কর্মীও। অনেক ছাত্র-ছাত্রীই তাই ঝুঁকে AI-সম্পর্কিত শিক্ষার কোর্সে। দেশের বিভিন্ন স্কুলেই এই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। দেশের ৪,৫৩৮ স্কুল থেকে আনুমানিক ৭,৯০,৯৯৯ বা বলা যায় প্রায় ৮ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে AI-সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্সের জন্য নাম নথিভূক্ত করেছেন। সিনিয়র সেকেন্ডারি স্তর (ক্লাস ইলেভেন ও টুয়েলভ মিলিয়ে) ৯৪৪ স্কুলের ৫০, ৩৪৩ জন শিক্ষার্থী AI বেছে নিয়েছেন। লোকসভায় লিখিত ভাবে এই তথ্য তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে শিক্ষা কতটা জরুরি সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা প্রকল্পতে যে বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হয়েছিল, তা হল-একবিংশ শতকে যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া। সেই প্রকল্পতে মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)-এর ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছিল।’
CBSE-স্কুলগুলিতে ২০১৯ সাল থেকেই AI-এর কোর্স চালু করা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। পড়ুয়ারা সচেতন হয়েছেন এর ভবিষ্যৎ নিয়ে। সিবিএসই- স্কুলগুলি ক্লাস এইটের পড়ুয়াদের জন্য ১৫ ঘণ্টার ফান্ডামেন্টাল কোর্সের সুযোগ করে দিয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি AI-অন্যতম পাঠ্যবিষয়। জয়ন্ত চৌধুরী আরও বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে AI-কে শিক্ষার অংশ হিসেবে যোগ করার কারণ ছিল, পড়ুয়ারা যাতে ধীরে ধীরে এর জন্য প্রস্তুত হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োগ যে ভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পরিচয় হতে পারবে।’
মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সিবিএসই স্বীকৃত ৩০,৩৭৩ স্কুলের মধ্যে ২৯,৭১৯ স্কুলে তথ্য প্রযুক্তির উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে। ওরা নিজেরাও AI-সম্পর্কিত নানা কোর্স যোগ করেছিল। সদ্য জারি করা এক নির্দেশিকায় মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামোর উন্নতিতে যা প্রয়োজন বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হবে।