নয়া দিল্লি: গ্রেফতার হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী পদেই রয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আম আদমি পার্টির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে পদত্যাগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার কেজরীবাল তিহাড় জেলে যাওয়ার পর নতুন করে বাড়ে জল্পনা। তবে মঙ্গলবার কেজরীবালের স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে দেখা করে আপ বিধায়করা পরামর্শ দেন, কোনও অবস্থাতেই যেন পদত্যাগ না করেন কেজরীবাল। জেল থেকেই যে সরকার চলবে, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেজরীবালকে।
এদিন মোট ৫৫ জন আপ নেতা সুনীতা কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেন। গত কয়েকদিন ধরে সুনীতাকে নিয়ে চর্চা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই মনে করছেন, পরবর্তীতে আম আদমি পার্টির অন্দরে বড় ভূমিকা নিতে চলেছেন কেজরীবালের স্ত্রী।
আপ বিধায়ক তথা আইনজীবী সোমনাথ ভারতী বলেন, “সবাই সুনীতা কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই চান, কেজরীবাল যাতে কোনও অবস্থাতেই পদত্যাগ না করেন। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে গোটা দিল্লির মানুষ। দিল্লির সাত লোকসভা আসনেই বিজেপি হারবে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে জেল থেকে কীভাবে রাজ্য প্রশাসন চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সব মহলেই। এর আগে জয়ললিতা, লালু প্রসাদ যাদব, হেমন্ত সোরেনের মতো যে সব নেতা-নেত্রীরা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জেলে গিয়েছেন, তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। তাই অনেকেই মনে করছেন, পদত্যাগ করাই শ্রেয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগী এ বিষয়ে বলেন, এটা একটা বিরল পরিস্থিতি। তবে আমি মনে করি, জেলে থেকে এভাবে প্রশাসন চালানো উচিত নয়।