ঝাঁসী: উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলেকে এনকাউন্টারে খতম করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদ আইনজীবী উমেশ পাল হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। এই খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আসাদ। তাঁর খোঁজ করছিল পুলিশ। এমনকি তাঁর জন্য পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুলিশের এনকাউন্টারে আসাদ মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে এই এনকাউন্টার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আতিকের ছেলে আসাদ ছাড়াও এনকাউন্টারে খতম হয়েছে আসাদের সঙ্গী গোলাম। দুই অভিযুক্তের থেকেই বিদেশে তৈরি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন আতিক আহমেদ। উত্তর প্রদেশের এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে রাজু পালকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ছিল। সেই মামলায় জেলেও ছিলেন আতিক। সেই মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। এ বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের বাড়ির সামনে উমেশ পালের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেই হামলায় উমেশ পাল ও তাঁর দুই দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। সেই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এমনকি আতিকের অন্য সহযোগীদের না বেড়ে বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন।
উমেশ পাল হত্যা মামলাক অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে নাম রয়েছে আতিক আহমেদেরও। সম্প্রতি তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে প্রয়াগরাজের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। গুজরাতের জেল থেকে আদালতে আসার আগে এনকাউন্টারে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। যদিও তাঁর পলাতক ছেলের ব্যাপারে কোনও কথা বলেননি তিনি।
উমেশ পাল হত্যা মামলায় আসাদকে খুঁজছিল পুলিশ। এমনকি তাঁর জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল উত্তর প্রদেশের পুলিশের তরফে। শেষমেশ পুলিশি এনকাউন্টারে খতম হলেন এই ফেরার অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গী গোলামেরও মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে। ঘটনা নিয়ে উত্তর প্রদেশ এসটিএফের তরফে জানানো হয়েছে, “ডেপুটি পুলিশ সুপার নবেন্দু এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার বিমলের নেতৃত্ব বিশেষ টাস্ক ফোর্সের একটি দল ঝাঁসীতে অভিযান চালায়। এতেই গ্যাংস্টার- মাফিয়া আতিক আহমেদের ছেলে আসাদের মৃত্যু হয়েছে। গোলাম নামে তাঁর এক সঙ্গীরও মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুজনের নামেই ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষিত ছিল।” এই এনকাউন্টারের জন্য উত্তর প্রদেশের বিশেষ টাস্কফোর্সের প্রশংসা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তদের সঙ্গে একটি বৈঠকও যোগী করবেন বলে জানা গিয়েছে।