সৎকারের পর ছাই সংগ্রহ করতে পারেনি পরিবার, সেই ছাই দিয়েই শ্মশানে তৈরি হচ্ছে পার্ক!
Park Created With COVID Victim's Ash: ১২ হাজার স্কোয়ারফিটের ওই জমিতে ছাই ছাড়াও গোবর, কাঠের গুড়ো, বালি মিশিয়ে ভিত তৈরি করা হচ্ছে। জাপানের মিয়াওয়াকি পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি বাগানও তৈরি করা হবে।
ভোপাল: করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। দিন-রাত কেবল চিতা জ্বলতে দেখা গিয়েছে শ্মশান ঘাটগুলিতে। কিন্তু দেহ সৎকারের পর ছাই (Ash) সংগ্রহ করতে পারতেন না পরিবারের সদস্যরা। তাই এ বার সেই ছাই দিয়েই ভোপাল(Bhopal)-র একটি শ্মশানের ভিতরে তৈরি করা হচ্ছে পার্ক (Park)।
ভোপালের বাধবাধা বিশ্রাম ঘাটে ২১টি ট্রাক ভর্তি ছাই ফেলা হয়েছে, সেই ছাই দিয়েই পার্কের জমি ঠিক করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণে মৃতদের পরিবারগুলি ছাই সংগ্রহ করতে না পারায়, সেগুলি শ্মশানেই পড়েছিল। পাহাড় প্রমাণ ছাই দিয়ে তাই ১২ হাজার স্কোয়ার ফুটের এই পার্কটি তৈরি করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে শ্মশানঘাটের ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান মমতেশ শর্মা বলেন, “মার্চের ১৫ তারিখ থেকে জুনের ১৫ তারিখ অবধি কমপক্ষে ৬ হাজার দেহ করোনাবিধি মেনে সৎকার করা হয়েছে। অধিকাংশ পরিবারই অস্থি সংগ্রহ করলেও দেহ পুড়ে যে ছাই তৈরি হয়, তা নিয়ে যেতে পারেননি করোনা বিধিনিষেধের কারণে। এভাবেই ২১ ট্রাক ছাই জমা হয় শ্মশানে। নর্মাদা নদীতে এই ছাই ফেললে তা নদীকেই দূষিত করত। সেই কারণেই আমরা ওই ছাই দিয়ে পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
১২ হাজার স্কোয়ারফিটের ওই জমিতে ছাই ছাড়াও গোবর, কাঠের গুড়ো, বালি মিশিয়ে ভিত তৈরি করা হচ্ছে। জাপানের মিয়াওয়াকি পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি বাগানও তৈরি করা হবে। লাগানো হবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার গাছ। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে শ্মশান কর্তৃপক্ষের তরফে এবং তাদের এই কাজে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। চারাগাছগুলি বড় না হওয়া অবধি ইচ্ছুক সদস্যরা সেই গাছের দেখভাল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ‘যুবদের জন্য কাজ করতে চাই’, শপথ নিয়ে বললেন উত্তরাখণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী
⇜ TV9 EXCLUSIVE: না পড়লেই নয় ⇝