Ashok Gehlot : রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী গেহলট, সরছেন সভাপতি নির্বাচন থেকে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Sep 26, 2022 | 8:26 PM

Ashok Gehlot : রাজস্থানের পরিস্থিতির জন্য মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে ক্ষমা চাইলেন অশোক গেহলট। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না গেহলট।

Ashok Gehlot :  রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী গেহলট, সরছেন সভাপতি নির্বাচন থেকে?
ফাইল ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি : অশোক গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে। সেই আঁচ পৌঁছেছে ১০ জনপথ অবধি। গতকাল সেই বিতর্ক এক অন্য় মাত্রা নেয়। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সচিন পাইলটের নাম উত্থাপিত হতেই বিরোধিতা করেন গেহলট অনুগত বিধায়করা। ৯০ জনের বেশি বিধায়ক গতকালই ইস্তফা দেওয়ার হুমকিও দেন। স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। ফের একবার দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে আসে। আর এর জন্য তিনি দায়ী নন বলে প্রথম থেকেই জানিয়েছেন গেহলট। তবে এবার এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে ক্ষমা চাইলেন অশোক গেহলট।

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আবহে রাজস্থানে এহেন পরিস্থিতি উদ্ভূত হওয়ায় মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের। আর সেই কারণে অশোক গেহলটের উপর ক্ষুণ্ণ গান্ধী পরিবার। তবে এবার রাজস্থানে এই পরিস্থিতির জন্য খাড়গের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন গেহলট। সূত্রের খবর, বিধায়কদের আলাদাভাবে বৈঠক করা এবং বিধায়কদের এইভাবে বিদ্রোহ ঘোষণাকে ‘ভুল’অভিহিত করে তিনি বলেছেন, এরকম হওয়া উচিত ছিল না। এদিকে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁর কোনও হাত ছিল না। তবে পাল্টা খাড়গে নিজের মতামত প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তাঁর মদত না থাকলে বিধায়করা এত বড় বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারতেন না।

এদিকে যার জন্য এত কিছু অশোক গেহলটের সেই পদটাই হাতছাড়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে ছিটকে গিয়েছেন গেহলট। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য লড়ছেন কেসি বেণুগোপাল, দিগবিজয় সিং ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘তিনি (অশোক গেহলট) কংগ্রেসের নির্বাচন থেকে বাইরে রয়েছেন। অন্য নেতারা ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন। দৌড়ে রয়েছেন মুকুল ওয়াসনিক, মল্লিকার্জুন খাড়গে, দিগবিজয় সিং, কেসি বেণুগোপাল।’ এদিকে কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন একাধিক রাজনৈতিক দল। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল কটাক্ষ করে বলেছেন, তাদের আগে কংগ্রেস জোড়ো যাত্রা করা উচিত। কংগ্রেসের এই দ্বন্দ্বের ফাঁকে বিরোধী দল হিসেবে কিছুটা নিজের জায়গা করতে ব্যস্ত আপ। আপ নেতা রাঘব চাড্ডা বলেছেন, ‘কংগ্রেস শেষ। কেজরীবালই বিকল্প।’

Next Article