গুয়াহাটি: বর্ষা আসতেই ফের বন্যায় বিধ্বস্ত অসম। ২৯টি জেলার ২৮০০-রও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। বন্যার জেরে প্রভাবিত ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ। এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আগামী কয়েকদিন আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বন্যার জন্য চিনকেই দুষলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
অসম সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বন্যার জেরে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া। তারা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমাগত। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কোলঙ্গ, ব্রহ্মপুত্র নদী। বন্যাদুর্গত মানুষের অভিযোগ, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই বারবার বন্যা হচ্ছে। সম্প্রতিই কোলঙ্গ নদীর উপরে তৈরি হাতিমারা বাঁধ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া বন্যা মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার, এমনটাও অভিযোগ উঠেছে।
যদিও এই অভিযোগগুলি মানতে নারাজ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশে বন্যার জেরেই অসমে বন্যা হচ্ছে। অরুণাচলের দিক থেকেই অসমের উপরিভাগে জল ঢুকছে, যার জেরে গোটা রাজ্য প্লাবিত হচ্ছে। কিন্তু অরুণাচল প্রদেশই বা কী করবে? ওরাও ভুক্তভোগী। আমাদের সঙ্গে অরুণাচল সরকারের সম্পর্ক ভাল, তাই অন্তত আমরা আগে থেকে সতর্ক হতে পারি।”
তবে অসমে বন্যার জন্য দায়ী কে? এই প্রশ্নের উত্তরে চিনের দিকেই আঙুল তোলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত চিন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বড় জলাধার তৈরি না করছে, ততক্ষণ অসমের বন্যা নিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। অসম থেকে এই বন্যার জল বাংলাদেশেও যাবে। কিন্তু আমাদেরই বা কী করার আছে? আমাদেরও কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। একমাত্র চিন জলাধার তৈরি করলেই বন্যার প্রকোপ থেকে আমরা মুক্তি পাব।”