গুয়াহাটি: রাজ্যে উথাল-পাতাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আর সেই সময়ই কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অসমের পাঁচতারা হোটেলেই বিগত দুই দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা ও নির্দল বিধায়করা। তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতাদের একাংশের দাবি, বিজেপি সরকারই বিক্ষুব্ধদের সাহায্য করছে। অথচ ঠিক উল্টো সুরই শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী গলায়। বৃহস্পতিবারই তিনি জানান যে, মহারাষ্ট্রের বিধায়রকরা যে রাজ্য়ে এসে থাকছেন, সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের অসমে ঘাঁটি গাড়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অসমে অনেক ভাল ভাল হোটেল রয়েছে। যে কেউ আসতে পারেন এবং এখানে থাকতে পারেন। আমি জানি না মহারাষ্ট্রের কোনও বিধায়ক অসমে এসে থাকছেন কি না। তবে অন্য রাজ্য়ের বিধায়করা এখানে আসতেই পারেন এবং হোটেলে থাকতে পারেন।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই চরমে ওঠে মহারাষ্ট্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব। শিবসেনার বিক্ষুব্ধ নেতারা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে প্রথমে গুজরাটের সুরাটে একটি রিসর্টকে আস্তানা বানায়। কিন্তু সেখানে শিবসেনার দুই প্রতিনিধি পৌঁছে যাওয়ায়, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই শিবসেনা সাংসদদের রাতারাতি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অসমের গুয়াহাটিতে।
বিমানবন্দরে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অসমের দুই বিজেপি বিধায়ক। সেই সময়ও বিজেপি বিধায়করা বলেছিলেন যে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেই তাঁরা শিবসেনা বিধায়কদের স্বাগত জানাতে এসেছিলেন। র্যাডিসন ব্লু নামক যে হোটেলে রয়েছেন শিবসেনা বিধায়করা রয়েছেন, সেই হোটেলেও তত্ত্বাবধান করতে দেখা গিয়েছিল হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। যদিও পরে মুখ্যমন্ত্রী ওই বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সূত্রের খবর, গুয়াহাটির ব়্যাডিসন ব্লু নামক ওই পাচতাঁরা হোটেলের ৭০টি রুম বুক করা হয়েছে।৭ দিনের জন্য রুমগুলি বুকিং করা রয়েছে। এই সাতদিনের থাকার খরচ ৫৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও আলাদাভাবে খাওয়ার খরচ ও অন্যান্য় পরিষেবা বাবদও প্রতিদিন প্রায় ৮ লক্ষ টাকা করে খরচ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।