Himanta Biswa Sarma: ‘২২ বছর ওই দলে ছিলাম, সম্পর্ক থাকবে না?’, বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে ‘সহজ’ উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 01, 2022 | 12:32 PM

Himanta Biswa Sarma: কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "শুধুমাত্র ঝাড়খণ্ডের বিধায়করাই নন,সমস্ত কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।"

Himanta Biswa Sarma: ২২ বছর ওই দলে ছিলাম, সম্পর্ক থাকবে না?, বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে সহজ উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর
অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ছবি:PTI

Follow Us

গুয়াহাটি: প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সমেত রাজ্য থেকে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। ইতিমধ্যেই ওই তিন সাংসদকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। টাকার উৎস জানতে ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ওই তিন বিধায়ককে। কংগ্রেসের আগেই অপারেশন পদ্মের অভিযোগ তুলেছিল, এবার আঙুল উঠল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দিকেও। কংগ্রেসের দাবি,মহারাষ্ট্রের মতোই ঝাড়খণ্ডেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে ভাঙতে টাকা ব্য়বহার করছে বিজেপি। গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজে।

শনিবার হাওড়ার পাঁচলা থেকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কের যে গাড়ি আটক করা হয়, তার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লক্ষ টাকা। আটক করা হয় জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ ও কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল কোঙ্গারিকে। ওই তিন নেতা উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও কংগ্রেস ও বিজেপি নানা দাবি করেছে। একদিকে যেখানে কংগ্রেসের দাবি, বিধায়ক কেনা-বেচার জন্য অভিযুক্ত তিন বিধায়ককে টাকা দিয়েছিল বিজেপি। সেখানেই আবার বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, জেজেএম-কংগ্রেসের জোট সরকারে যে দুর্নীতি চলছে, তার প্রমাণ এই টাকা।

যেদিন ঝাড়খণ্ডের ওই বিধায়ক গ্রেফতার হন, সেইদিনই কুমার জয়মঙ্গল নামক কংগ্রেসের অপর এক বিধায়ক রাঁচীতে ওই তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই বিধায়কের দাবি, রাজ্যের সরকার ভাঙার জন্য ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তাঁরা অসমের মুখ্য়মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশেই এই কাজ করছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহীতা ওবং দুর্নীতি বিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার অদ্ভুত লাগছে উনি (জয়মঙ্গল) বলছেন যে ওই তিন বিধায়কের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়েছে বা গুয়াহাটি আসার জন্য অনুমতি চাইতে হয়েছে। উনি আমাকে বহু বছর ধরে চেনেন। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য কোনও মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই। এফআইআরে উনি এমনভাবে উল্লেখ করেছেন যেন আমাকে চেনেনই না। নিশ্চয়ই চাপে পড়ে ওনাকে এগুলি লিখতে হয়েছে।”

কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র ঝাড়খণ্ডের বিধায়করাই নন,সমস্ত কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তা সে কর্নাটকের হোক বা মহারাষ্ট্রের। বড় বড় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তারা শলা-পরামর্শের জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখনই দলের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যান, এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন।”

তবে কংগ্রেস নেতা-বিধায়কদের সঙ্গে এই সম্পর্কে রাজনৈতিক নয়, বরং সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বলেই জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কংগ্রেসে থাকায়, সমস্ত নেতাদের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই দলের শীর্ষস্তরে উত্থান হয় তাঁর।

Next Article