ECI on Assam: একই বছরে বাংলাতেও ভোট, অসমেও ভোট! তাও কেন SIR থেকে ‘আউট’ হিমন্তের রাজ্যে
SIR in West Bengal: এদিন তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্ববধানে অসমে নাগরিকত্বের যাচাইকরণ বা এনআরসি একেবারে শেষ পর্যায়ে। আর গোটা দেশের জন্য এসআইআর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যেহেতু ২৪ জুন প্রকাশিত হয়েছিল, তাই তা অসমে প্রযোজ্য হচ্ছে না।' অবশ্য, এমন নয় যে সে রাজ্যে এসআইআর হওয়ার সম্ভবনা একেবারেই নেই।

নয়াদিল্লি: ভোট রয়েছে বাংলায়। ভোট রয়েছে অসমেও। তারপরেও ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রসঙ্গ উঠতেই কেন ‘ইন’ বাংলা, আর কেন ‘আউট’ অসম? সোমবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সেই নিয়েই উত্তর দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। কী বললেন তিনি?
বছর ঘুরলেই নির্বাচন
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে পড়শি রাজ্য অসমেও। কিন্তু সেই রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে কোনও ঘোষণা করল না নির্বাচন কমিশন। বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য়ে এসআইআর-র ঘোষণা করা হলেও সেই তালিকায় নাম নেই অসমের। অবশ্য এই নাম না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জ্ঞানেশ কুমার।
এদিন তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্ববধানে অসমে নাগরিকত্বের যাচাইকরণ বা এনআরসি একেবারে শেষ পর্যায়ে। আর গোটা দেশের জন্য এসআইআর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যেহেতু ২৪ জুন প্রকাশিত হয়েছিল, তাই তা অসমে প্রযোজ্য হচ্ছে না।’ অবশ্য, এমন নয় যে সে রাজ্যে এসআইআর হওয়ার সম্ভবনা একেবারেই নেই। জ্ঞানেশ কুমারের কথায়, ‘অসমের জন্য আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।’ তবে কবে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, তা স্পষ্ট করেনি নির্বাচন কমিশন।
বলে রাখা প্রয়োজন, শুধুমাত্র অসমের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল নাগরিকত্ব আইনের ৬-এর ধারাটি। অনুপ্রবেশ বিরোধী আন্দোলনের পর ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া অসম-চুক্তির ভিত্তিতে এই ধারার সংযোজন হয়েছিল। আপাতত ভাবে অসমকে আলাদা চোখে দেখা ও এসআইআর না করার নেপথ্যে সেই ধারাকেই যুক্তি হিসাবে খাঁড়া করল কমিশন।
