অসম: বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ আরও ভয়ানক হচ্ছে অসমে। গোটা রাজ্যে অন্তত ২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বেশিরভাগ নদী। বিপদসীমা পার করে ফেলেছে জল। ব্রহ্মপুত্র নদীতে জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে নৌকা চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চলতি বছরে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৫ ছুঁয়েছে অসমে।
সোমবার মাছ ধরতে গিয়ে অসমের শিবসাগর জেলার এক বাসিন্দা ভেসে গিয়েছেন নদীর জলে। ব্রহ্মপুত্রের জল বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী,ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭টি জেলা। সেই তালিকায় রয়েছে বিশ্বনাথ, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, জোরহাট, লখিমপুর, মাজুলি, মোরিগাঁও, নাগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, তামুলপুর ও উদালগিরি।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকশ মানুষকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও এসডিআরএফ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নয়, বেকি, জিয়া-ভরালি, দিসাং, সুবানসিরির মতো নদীগুলিও বিপদসীমা পার করে ফেলেছে। আগামী এক সপ্তাহ জল পরিবহন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
অসমের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার জলে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছে ৮ হাজার একরের বেশি চাষের জমি, ফলে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে কার হচ্ছে। শুধু গ্রামবাসী নয়, প্রচুর গবাদিপশু, হাঁস বা মুরগিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা ও সেতুগুলির এতই খারাপ অবস্থা যে সাধারণ মানুষের যাতায়াত করাও দায় হয়ে উঠেছে।