গুয়াহাটি: বা়ডছে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি। তাই নাগরিকত্ব নিয়ে আরও কড়া হিমন্ত সরকার। আধার কার্ডের সঙ্গে এবার এনআরসি যোগ। নাগরিকত্ব নথিভুক্তকরণ নিয়ে কড়া অবস্থান সরকারের। যদি আধার কার্ডের জন্য আবেদনকারী কোনও ব্যক্তি বা তার পরিবার এনআরসির জন্য আবেদন না করে থাকেন, তবে তার আধার কার্ডের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “সম্প্রতিই অশান্ত বাংলাদেশ থেকে বহু অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। বিগত দুই মাসে বহু অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে অসম পুলিশ, ত্রিপুরা পুলিশ ও বিএসএফ। সেই কারণেই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আমাদের কাছে উদ্বেগের। আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আরও শক্তিশালী করতে হবে। সেই কারণেই আধার কার্ডের প্রক্রিয়া আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও রাজ্য সরকার আধার কার্ডের আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করবে। তারাই যাবতীয় আবেদন খুঁটিয়ে দেখবে। আবেদনপত্র যাচাইয়ের জন্য প্রতিটি জেলায় একজন অতিরিক্ত জেলা কমিশনার নিযুক্ত থাকবেন।
প্রাথমিক ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাইয়ের পর ইউআইডিএআই (আধার নিয়ামক সংস্থা) সেই আবেদনপত্র রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবে যাচাইয়ের জন্য। স্থানীয় সার্কেল অফিসার প্রথমেই দেখবেন যে আধার কার্ডের আবেদনকারী বা তার মা-বাবা এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কি না। যদি এনআরসি-র কোনও আবেদন পাওয়া না যায়, তবে আধার কার্ডের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে।
ওই ব্যক্তি আর কখনও আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট জমা পড়বে। যদি কারোর এনআরসি-তে আবেদন করা থাকে, তবে বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের পর আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।
তবে এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবেন ভিন রাজ্য থেকে আসা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। তাদের এনআরসি-তে আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, অসমে ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট এনআরসি-র তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। ওই তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছিল, যা নিয়ে পরবর্তীকালে তীব্র অশান্তিও হয়েছিল রাজ্যে।