ভুবনেশ্বর: আর পাঁচটা গাড়ির মতোই ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিল তেল বোঝাই ট্য়াঙ্কার। হঠাৎ বিপত্তি, চাকা পিছলে ব্রিজ থেকে পড়ে গেল ট্যাঙ্কারটি। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় ট্য়াঙ্কারটিতে। দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে চার জনের। একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নয়াগড়ে। শনিবার ভোর রাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে সম্বলপুরে যাচ্ছিল জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্কারটি। রাত ১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আচমকাই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে নদীতে পড়ে যায়। কুসুমি নদীতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্যাঙ্কারটিতে বিস্ফোরণ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। গাড়ির চালক, সহকারীরা চেষ্টা করলেও বাইরে বের হতে পারেননি। গাড়ির ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। গাড়ির চালক-সহকারীকে উদ্ধার করতে এসে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই স্থানীয় বাসিন্দারও। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একজন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম পঙ্কজ নায়াজ, দীপু খাটুয়া, সমীর নায়ক ও চন্দন খাটুয়া। আহত ব্যক্তির নাম এখনও জানা যায়নি, তবে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্যাঙ্কারটি ব্রিজে ধাক্কা মেরে কুসুমি নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন এবং উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তবে চালক-সহকারীকে উদ্ধার করার মাঝেই হঠাৎ ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হয়। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই স্থানীয় বাসিন্দা ও চালক-সহকারীর। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর দমকল ও পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যেই ওই চার জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে যে, চালকের কোনও কারণে চোখ লেগে গিয়েছিল। সেই কারণেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা যখন উদ্ধার করতে যায়, তখন ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হয়।