Atiq Ahmad murder: খুনিরা কীভাবে হাসপাতালের খবর পেল? আতিককে কেন হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল? উত্তর প্রদেশ সরকারকে সুপ্রিম প্রশ্ন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Apr 28, 2023 | 6:28 PM

Atiq Ahmad murder case in Supreme Court: গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সেই সম্পর্কে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছ থেকে একটি হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। জবাব দিতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে।

Atiq Ahmad murder: খুনিরা কীভাবে হাসপাতালের খবর পেল? আতিককে কেন হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল? উত্তর প্রদেশ সরকারকে সুপ্রিম প্রশ্ন
আতিক আহমেদ হত্যা নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারকে হলফনামা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

Follow Us

নয়া দিল্লি: গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সেই সম্পর্কে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছ থেকে একটি হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজে পুলিশি হেফাজতে মেডিকেল চেক-আপের জন্য তাদের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়া, আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ-সহ উমেশ পাল হত্যা মামলার অন্য আসামিদের পুলিশি সংঘর্ষে হত্যার তদন্ত সম্পর্কিত তথ্যও চেয়েছে বেঞ্চ। ২০২০ সালে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টারে মৃত্যুর প্রসঙ্গও তুলেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিএস চৌহানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল, সেই রিপোর্ট অনুসারে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছ রাজ্যকে।

সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আতিক আহমেদ এবং আশরাফ আহমেদের হত্যা-সহ ২০১৭ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে হওয়া ১৮৩টি পুলিশি সংঘর্ষে হত্যার স্বাধীন তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী। এদিন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি বিচারপতি চৌহানের রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ওই রিপোর্টে বিকাশ দুবে এনকাউন্টার মামলায় উত্তর প্রদেশ পুলিশকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল । শুনানির সময়, বিচারপতি ভাট এবং দত্তের বেঞ্চ, উত্তর প্রদেশ সরকারকে প্রশ্ন করে, আতিক ও আশরাফ আহমেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেই খবর খুনিরা কীভাবে জানতে পেরেছিল? বেঞ্চ আরও জানতে চেয়েছে, কেন পুলিশ তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে না নিয়ে গিয়ে, হাসপাতালের প্রবেশ দ্বার পর্যন্ত হাঁটিয়ে নিয়ে এসেছিল? তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে এই প্রশ্নগুলির জবাব দিতে হবে উত্তর প্রদেশ সরকারকে।

উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তিনি এই নোটিস না দেওয়ার জন্য জোরালো অনুরোধ করেন। তিনি আদালতে জানান, রাজ্য সরকার এই দুই মৃত্যুর তদন্ত করছে। তিনি জানান, আতিক এবং আশরাফ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের উপর ক্ষুব্ধ কেউই হত্যা করেছে। এই বিষয়েই সরকার তদন্ত চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পুলিশি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের দুদিন পরপরই মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাই দুষ্কতীরা আগে থেকেই তৈরি হতে পেরেছিল। এছাড়া, হাসপাতালের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত দূরত্ব অত্যন্ত কম বলেই, তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে না চাপিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, এই দুই হত্যার তদন্তের জন্য দুই প্রধান বিচারপতি, আরও এক বিচারপতি এবং এক পুলিশ কর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। তবে, মুকুল রোহতগির অনুরোধের পরও রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।

Next Article