Honey Trap: ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই একে একে সব ফাঁস, পাচার হয়ে গেল যুদ্ধবিমান, সাবমেরিনের তথ্যও!

Feb 15, 2024 | 12:13 PM

Honey Trap from Pakistan: খুব বেশিদিন হয়নি, মাত্র এক বছর আগেই ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বলে অভিযোগ। পূজা মেহরা নামে প্রোফাইল খোলা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই প্রোফাইল থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে। তথ্য হাতানোর জন্য প্রলোভন দেখানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছে এটিএস।

Honey Trap: ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই একে একে সব ফাঁস, পাচার হয়ে গেল যুদ্ধবিমান, সাবমেরিনের তথ্যও!
উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার এক ব্যক্তি
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

উত্তর প্রদেশ: ফের শত্রুদের পাতা ফাঁদে পা! ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পাচার হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। হানি-ট্র্যাপে পড়েই সব ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁর বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের হাপুর থেকে। ওই ব্যক্তি মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এফআইআর-এর ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের এটিএস।

ধৃতের নাম সতেন্দ্র সিওয়াল। তিনি উত্তর প্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে ক্রমশ। ঘনিষ্ঠতার খাতিরেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওই মহিলার হাতে তুলে দিতে থাকেন তিনি। বায়ুসেনা, নৌবাহিনী, ভারতের হাতে থাকা যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন সংক্রান্ত তথ্য়ও তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এটিএস-এর ইন্সপেক্টর রাজীব ত্যাগী। আপাতত এটিএস হেফাজতে রাখা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।

খুব বেশিদিন হয়নি, মাত্র এক বছর আগেই ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বলে অভিযোগ। পূজা মেহরা নামে প্রোফাইল খোলা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই প্রোফাইল থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে। তথ্য হাতানোর জন্য প্রলোভন দেখানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছে এটিএস।

ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন, সিওয়াল জেরায় দাবি করেছেন যে কোন কোনও তথ্য তিনি মহিলাকে দিয়েছেন, তা এখনও তাঁর ফোনে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ব্যবহার ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যোগ থাকার প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে। পাকিস্তান থেকেই যে ওই মহিলার প্রোফাইল চালানো হত, সেই সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

লখনউ-এর এটিএস পুলিশ স্টেশনে সতেন্দ্র সিওয়ালের নামে একটি এফআইআর হয়। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনি মস্কোতে ভারতীয় দূতাবাসে সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রককেও ওই ব্যক্তির গ্রেফতারি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এটিএস জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের একাধিক তথ্য পাচার হয়ে গিয়েছে।

Next Article