Electoral Bond: না ভাঙানো নির্বাচনী বন্ড ফেরত দিতে হবে, এবার কী করবে রাজনৈতিক দলগুলি?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 15, 2024 | 12:42 PM

Supreme Court on Electoral Bond: ইলেকটোরাল বন্ড ভাঙিয়ে কত টাকা এনক্যাশ করা হয়েছিল, তাও এসবিআই-কে জানাতে হবে। যেহেতু নির্বাচনী বন্ড ভাঙানোর মেয়াদ ১৫ দিন, তাই যে বন্ডগুলি কেনা হয়েছে কিন্তু এখনও ভাঙাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলি, তা যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওই বন্ডটি কিনেছেন, তাকে ফেরত দিতে হবে। বন্ড ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে, ব্য়াঙ্ক-কে বন্ড বাবদ মূল্য বা টাকাও ফেরত দিতে হবে।   

Electoral Bond: না ভাঙানো নির্বাচনী বন্ড ফেরত দিতে হবে, এবার কী করবে রাজনৈতিক দলগুলি?
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কী কী বলল শীর্ষ আদালত?
Image Credit source: TV9 বাংলা

Follow Us

নয়া দিল্লি: ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শীর্ষ আদালতের তরফে নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হল। এই প্রকল্প নাগরিকদের তথ্যের অধিকারকে লঙ্ঘন করে বলেই জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। শীর্ষ আদালতের তরফে নির্বাচনী বন্ড বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে নির্বাচনী বন্ডগুলি এখনও ভাঙানো হয়নি, তা ফেরত বা রিফান্ড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “নির্বাচনী বন্ড বিধিবহির্ভূত। এতে রাজনৈতিক দল ও অনুদানকারীর মধ্যে সুবিধা লেনদেনের ব্যবস্থা তৈরি হতে পারে। এটি নাগরিকদের তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন করছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে অনুদানকারীরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

শীর্ষ আদালতের তরফো স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে ইলেকটোরাল বন্ড বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রের এই প্রকল্প চালু করার পর নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দল কত আর্থিক অনুদান পেয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কত তারিখে নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে, কে নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা অনুদান পেয়েছে, তা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

ইলেকটোরাল বন্ড ভাঙিয়ে কত টাকা এনক্যাশ করা হয়েছিল, তাও এসবিআই-কে জানাতে হবে। যেহেতু নির্বাচনী বন্ড ভাঙানোর মেয়াদ ১৫ দিন, তাই যে বন্ডগুলি কেনা হয়েছে কিন্তু এখনও ভাঙাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলি, তা যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওই বন্ডটি কিনেছেন, তাকে ফেরত দিতে হবে। বন্ড ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে, ব্য়াঙ্ক-কে বন্ড বাবদ মূল্য বা টাকাও ফেরত দিতে হবে।

শুধু ব্যাঙ্ক-কেই নয়, নির্বাচন কমিশনকেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ, কোন দলে কত টাকা আর্থিক অনুদান জমা পড়েছিল, কে অনুদান দিয়েছিল, এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এবং ভোটারদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনুদানকারীর সম্পর্ক পর্যালোচনা করার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Next Article