অযোধ্যা: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Temple) নির্মাণকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও সকলের জন্য মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হতে এখনও মাস তিনেক বাকি। কিন্তু, এখন থেকেই অযোধ্যায় হোটেল (Hotel) বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও ভালভাবে বলা যায়, দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাম মন্দির সংলগ্ন হোটেলগুলির প্রায় ৮০ শতাংশ বুকিং সম্পূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই রাম মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও দ্বারোদ্ঘাটনের সময় যে হাজার-হাজার মানুষের ভিড় জমবে অযোধ্যা-নগরীতে, তা হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক থেকেই একপ্রকার স্পষ্ট।
অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিন স্থির হয়েছে আগামী ২২ জানুয়ারি। বুধবার রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফেই দিনটি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়ে তাঁকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই। তারপর থেকেই যেন অযোধ্যায় হোটেল বুকিংয়ে হিড়িক শুরু হয়েছে।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হবে। সশরীরে সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষ্য হতে উৎসূক দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। তাই অনুষ্ঠানের আগের দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি থেকেই অযোধ্যা ও রাম মন্দির সংলগ্ন হোটেলগুলিতে বুকিং শুরু হয়েছে। অধিকাংশ হোটেলের ঘরই ৩ দিনের জন্য বুকিং হয়েছে। অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলগুলিতে বুকিং হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই তিনদিন হোটেলের রেট অনেকটাই বেশি। দৈনিক ভাড়া একেবারে দেড় হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের হোটেলের রেট দেখলেই ফারাকটি বোঝা যাচ্ছে।
রাম মন্দির সংলগ্ন বিশেষ কয়েকটি হোটেলের দৈনিক ভাড়া
হোটেল হনুমানজি- ২০২৪-এর জানুয়ারিতে দৈনিক এই হোটেলের ভাড়া ৮,০১৬ টাকা। আর এপ্রিলে দৈনিক ভাড়া ১,৮৮৮ টাকা। একইভাবে হোটেল নীলকান্থের ২০২৪-এর জানুয়ারিতে দৈনিক ভাড়া ১০,৩২৫ টাকা, সেখানে এপ্রিলে ভাড়া ১,৭৪০ টাকা। হোটেল অযোধ্যা প্যালেসের জানুয়ারিতে ভাড়া ১৬,২২১ টাকা এবং এপ্রিলে ভাড়া ৩,৭২২ টাকা। সবচেয়ে বেশি ভাড়া কেকে হোটেলের। জানুয়ারিতে এই হোটেলের ভাড়া উঠেছে ২০,৯২৫ টাকা, যেখানে এপ্রিলে এই হোটেলের ভাড়া ৭,৯০৫ টাকা।
আগামী বছর জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই হোটেলের ভাড়া বাড়ছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন রাম মন্দির সংলগ্ন রামায়ণা হোটেলের ম্যানেজার অমিত মিশ্র। তবে পর্যটকদের খুব ভাল অভিজ্ঞতা দিতে হোটেলগুলি পুরোদমে কাজ করছে, বিদেশি পর্যটকদের কথা ভেবে বিশেষ মেনুরও আয়োজন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। বিশেষ মেনুর মধ্যে নিরামিষ খাবার যেমন থাকছে, তেমন মিলেটের নানান ডিশ থাকছে বলে জানিয়েছেন রামায়ণা হোটেলের প্রধান।
অন্যদিকে, রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে স্থানীয় অর্থনীতি উন্নয়নের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য দোকান করে দেওয়া হবে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা যাতে স্থানীয় পণ্য কিনতে পারেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন, তার উপরই বিশেষ জোর দিচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।