অযোধ্যা: অযোধ্যার নির্মাণাধীন মন্দিরে রামের যে মূর্তি স্থাপন করা হবে, তাতে রামকে দেখা যাবে এক তীরন্দাজ রূপে। কর্ণাটকের ‘কৃষ্ণ শিলা’ বা কালো পাথর দিয়ে খোদাই করা হবে মূর্তিটি। উচ্চতায় মূর্তিটি হবে পাঁচ ফুট। মূর্তিটি খোদাই করবেন মাইসুরুর প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। এমনটাই জানিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। সোম ও মঙ্গলবার ট্রাস্টের সদস্যরা একটি বৈঠক করেন। দুই দিনের বৈঠকে রামের মূর্তিটি কেমন হবে, তা চূড়ান্ত করেছে ট্রাস্ট। বুধবার ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য স্বামী তীর্থ প্রসন্ন্যাচার্য বলেছেন, “ভগবান রামের নতুন মূর্তিতে তাঁর পাঁচ বছর বয়সী অবতার দেখা যাবে। এটি পাঁচ ফুট লম্বা হবে। মূর্তিটি ধনুক এবং তীর হাতে দাঁড়ানো অবস্থায় থাকবে। কর্ণাটকের কারকর এবং হেগ্গে দেবেন কোট গ্রাম থেকে অযোধ্যায় পাথর আনা হবে। সেই পাথরে মূর্তিটি খোদাই করবেন অরুণ যোগীরাজ। কোন পাথরটিতে মূর্তিটি খোদাই করা হবে, তা ঠিক করবেন ভাস্কর।”
রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, তারা ঋষি, ভূতাত্ত্বিক, ভাস্কর, হিন্দু শাস্ত্রজ্ঞ এবং ট্রাস্টের পদাধিকারীদের সঙ্গে রাম মূর্তি নিয়ে শলা-পরামর্শ করেছেন। বিস্তর আলোচনার পর, মূর্তি খোদাইয়ের জন্য ‘কৃষ্ণ শিলা’ নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ভক্তরা অধীর আগ্রহে রাম লালার নতুন মূর্তিটির জন্য অপেক্ষা করছেন। আগামী বছর মকর সংক্রান্তি উৎসবের দিন অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে মৃর্তিটি স্থাপন করা হবে।”
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি নিয়ে বিবাদ চলেছে। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই জমি বিতর্কের অবসান ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট, বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির মালিক রাম লালা বলে জানিয়ে দেয়। ওই জায়গায় একটি রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দেয়। এর জন্য তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর পাশাপাশি, অযোধ্যা জেলাতেই মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকারকে পাঁচ একর জায়গা নির্দিষ্ট করার আদেশ দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২ অগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ‘ভূমি পূজন’ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে মন্দির নির্মাণের কাজ। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাম মন্দিরের একটি এরিয়াল ভিডিয়োও পোস্ট করেছিলেন তিনি।