অযোধ্যা: আর মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। রামলালার গৃহ প্রবেশের আগে থেকেই অযোধ্য়ায় (Ayodhya) ভিড় জমিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হলেও, পুণ্যার্থীদের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে রাম মন্দিরের দরজা। আপনিও যদি উদ্বোধনের পরই আগেভাগে রামলালার দর্শন করতে চান, তবে আপনার জন্য রয়েছে কিছুটা খারাপ খবর। কারণ জানুয়ারি মাসে রাম মন্দির দর্শন করার জন্য আপনার খসতে পারে লাখ টাকা।
হোটেল থেকে বিমানের ভাড়া, রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সবকিছুরই দাম আকাশছোঁয়া। ২২ জানুয়ারি যদি কেউ রাম মন্দিরে যেতে চান, তবে একজনেরই খরচ ১ লাখ টাকার কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। কারণ টিকিট ও হোটেলের চাহিদা তুঙ্গে। এমনকী, মন্দিরের আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাও তাদের ঘর ভাড়া দিচ্ছেন হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে। করোনাকালের তুলনায় এখন অযোধ্যায় যাওয়ার চাহিদা ৪০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ বা চেন্নাই থেকে অযোধ্যার বিমানের টিকিট নেই বললেই চলে। যা টিকিট পাওয়া যাচ্ছে, তাও ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিকোচ্ছে। রিটার্ন ফ্লাইটের টিকিটের দাম তো আরও বেশি। আশেপাশের লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারাণসীর তুলনায় এখন অযোধ্যার বিমানের টিকিটের দাম ৭০ শতাংশ বেশি।
যদি বিমান বা ট্রেনে করে অযোধ্যায় পৌঁছেও যান, তাহলে মাথার উপরে ছাদ খুঁজতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে আগামী কয়েক মাস অযোধ্যায় প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ লক্ষ পর্যটক আসবেন। ফলে অযোধ্যায় আপাতত সমস্ত হোটেলই সম্পূর্ণ বুকিং হয়ে গিয়েছে। ঘর পেতে আপনাকে দিতে হবে অতিরিক্ত ভাড়া। সেই ভাড়াটাও যৎসামান্য নয়। ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়েছে হোটেলের ভাড়া। কোনও কোনও হোটেলে তো একরাত থাকার খরচই ৭০ হাজার টাকা। যদি ৭০ হাজারি হোটেলে থাকতে হয় এবং ৩০ হাজার টাকা বিমান ভাড়া দিতে হয়, তাহলেই তো এক লাখ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এরপর তো খাওয়া, ঘোরা-ফেরার খরচ রয়েছে।