Baba Siddique: বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো, সব ছক কষা ছিল হামলাকারীদের

Oct 14, 2024 | 2:43 PM

Baba Siddique: ধৃত ২ হামলাকারী দাবি করে, তারা নির্দোষ। হামলা চালানোর পিছনে মাস্টারমাইন্ড কে, তা শুধু জানে শিবকুমার। সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছে, তারা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হয়ে কাজ করে। বাবা সিদ্দিকির গতিবিধির উপর গত কয়েকমাস ধরেই নজর রাখছিল। তাদের প্রত্যেককে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

Baba Siddique: বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো, সব ছক কষা ছিল হামলাকারীদের
বেশ কিছুদিন ধরেই বাবা সিদ্দিকির গতিবিধির উপর নজর রাখছিল আততায়ীরা
Image Credit source: PTI

Follow Us

মুম্বই: তাঁর সঙ্গে সবসময় থাকতেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। হামলার সময় ওই কনস্টেবলের চোখকে ফাঁকি দেওয়া যাবে কীভাবে? সেই ছক কষে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে খুনে ধৃত ২ হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর তথ্য সামনে আসছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার পর কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়েছিল হামলাকারীরা। তারপরই ভিড়ে মিশে পালানোর চেষ্টা করে। ৩ জন আততায়ীর মধ্যে ২ জন ধরা পড়ে।

শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে বান্দ্রা পূর্বে তাঁর পুত্র জিশানের অফিসের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন বাবা সিদ্দিকি। বিধায়ক জিশানের অফিস থেকে বেরনোর পরই গুলি করা হয় প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে। তিনজন আততায়ীর মধ্যে ধরা পড়েছে বছর তেইশের গুরমেল বলজিৎ সিং এবং বছর উনিশের ধরমরাজ কাশ্যপ। বলজিতের বাড়ি হরিয়ানায়। ধরমরাজের বাড়ি উত্তর প্রদেশে। তৃতীয় পলাতক আততায়ীর নাম শিবকুমার গৌতম। তার বাড়িও উত্তর প্রদেশে।

জানা গিয়েছে, দশেরার শোভাযাত্রার ভিড়ে মিশে বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষেছিল তারা। ঠিক করে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করবে বলজিৎ ও ধরমরাজ। কিন্তু, দশেরার শোভাযাত্রার ভিড় ও বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তা দেখে শিবকুমার জানায়, সেই প্রথম গুলি চালাবে। বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা কনস্টেবলের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর জন্য লঙ্কার গুঁড়ো ও লঙ্কার স্প্রেও পকেটে রেখেছিল তারা।

এই খবরটিও পড়ুন

দশেরার শোভাযাত্রা ও আতসবাজির শব্দের মধ্যেই বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড গুলি চলে। তারপরই আততায়ীরা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। ভিড়ের মধ্যে মিশে যায় শিবকুমার। কিন্তু, ধরা পড়ে যায় বলজিৎ ও ধরমরাজ। তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল ও ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।

বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তার জন্য ৩ জন কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা তিনটে শিফটে কাজ করতেন। ফলে প্রাক্তন এই মন্ত্রীর সঙ্গে সবসময় একজন কনস্টেবল থাকতেন।

ধৃত ২ হামলাকারী দাবি করে, তারা নির্দোষ। হামলা চালানোর পিছনে মাস্টারমাইন্ড কে, তা শুধু জানে শিবকুমার। সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছে, তারা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হয়ে কাজ করে। বাবা সিদ্দিকির গতিবিধির উপর গত কয়েকমাস ধরেই নজর রাখছিল। তাদের প্রত্যেককে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। হামলা চালানোর কয়েকদিন আগেই তাদের বন্দুক দেওয়া হয় বলে ধৃতরা জানিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, খুব দ্রুত তৃতীয় হামলাকারীকে ধরা হবে। বিষ্ণোই গ্যাং হোক কিংবা অন্য কেউ, এই হামলায় জড়িতদের ছাড়া হবে না বলে জানান তিনি। এদিকে, ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ পুনে থেকে প্রবীণ লোঙ্কার নামে বছর আটাশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রবীণের ভাই শুভম লোঙ্কারের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Next Article