নয়া দিল্লি: রেকর্ড সময়ে গোটা দেশে ৫জি পরিষেবা চালু করার পর, এবার ভারত দ্রুত এগোচ্ছে ৬জি প্রযুক্তির দিকে। ৬জি সম্পর্কিত পেটেন্ট ফাইল করার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখলের প্রতিযোগিতায় ঢুকে পড়ল ভারত। ৬জি পেটেন্ট ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে এখন ভারত বিশ্বর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬জি প্রযুক্তির নকশা, উন্নয়ন এবং স্থাপনার ক্ষেত্রে ভারত এক অগ্রণী ভূমিকা নেবে। এর জন্য় মোদী সরকার ‘ভারত ৬জি ভিশন’ নামে এক প্রকল্প নিয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার ইতিমধ্যেই ৪৭০টি গবেষণা প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। এই গবেষণাগুলি ভারতে দ্রুত ৬জি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক সরকারি প্যানেলের দাবি, আগামী তিন বছরের মধ্যে, বিশ্বের সমস্ত ৬জি পেটেন্টের ১০ শতাংশ থাকবে ভারতের হাতে। ৬জি নিয়ে যদি ৬টি গবেষণা হলে, তার অন্তত ১টি হবে ভারতে। আর এই বিষয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সরকারও। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অর্থে ৬জি সংক্রান্ত গবেষণার দুটি পরবর্তী প্রজন্মের টেস্টবেড তৈরি করা হচ্ছে। পেটেন্ট এবং আইপিআর-এর ক্ষেত্রেও সাহায্য করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ‘ভারত ৬জি ভিশন’ এবং ‘ভারত ৬জি অ্যালায়েন্স’-এর মতো বিভিন্ন উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
শিল্প-বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জায়গায় যেতে গেলে ভারতকে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা-সহ ওয়্যারলাইন এবং ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড – দুই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেই ভারতকে এগোতে হবে। ১৪ থেকে ২৪ অক্টোবর ভারতে ১০ দিনের বিশ্ব টেলিকম স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি হতে চলেছে। ১৯০টিরও বেশি দেশ থেকে টেলিকম শিল্পের নেতা, বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ১৫০ বছরের আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ইতিহাসে, এই প্রথম দিল্লিকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। টেলিুমিফনিকেশন বিভাগের মতে, এটা ভারতের সামনে একটা বড় সুযোগ। ভারত যে ৬জি পরিষেবা এবং তারও আগে এগোনোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে, তা গোটা বিশ্বর সামনে তুলে ধরা যাবে।