মুম্বই: কয়েক মাস আগেই শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন একদা সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ একনাথ শিন্ডে। শনিবার মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের জারি করা সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। শনিবারে সরকারি রেজিলিউশনে জানানো হয়েছে এখন থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও সরকারি অনুদানে চলা অফিসের কর্মীদের মোবাইল ফোনে কল ধরার সময় ‘হ্যালো’-র পরিবর্তে ‘বন্দে মা তরম’ বলা বাধ্যতামূলক। রাজ্যের কোনও নাগরিক অথবা সরকারি আধিকারিকদের তরফে আসা ফোনালাপের শুরুটাই হবে ‘বন্দে মা তরম’ দিয়ে।
সাধারণ প্রশাসন দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করার পর জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদেরও এই নয়া নির্দেশিকা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এমনকি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসবেন তাদেরও ‘বন্দে মা তরম’ বলে সম্বোধন করতে হবে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মোবাইলে আসা ফোন ধরার সময় ‘হ্যালো’ বলাটা পশ্চিমী সংস্কৃতি। এই শব্দের মধ্যে না আছে কোনও মানে, না এই শব্দ কাউকে প্রভাবিত করতে পারে।
অগস্ট মাসে নতুন করে শপথ নেওয়ার পর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সুধীর মুঙ্গন্তিয়ার এই নির্দেশিকার কথা জানিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন, “গোটা দেশ স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপন করছে এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে সরকারি কর্মীরা টেলিফোনে কথোপকথনের ক্ষেত্রে হ্যালোর পরিবর্তে বন্দে মা তরাম ব্যবহার করবেন।” উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও কয়েক বছর আগে এই ধরনের সুর শোনা গিয়েছিল। বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের পাল্টা ‘জয় বাংলা’-কে হাতিয়ার করে দলীয় কর্মী ও রাজ্যের মানুষদের ফোনে কথা বলার আগে হ্যালোর পরিবর্তে এই শব্দবন্ধ প্রয়োগ করতে বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।